টি২০ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। সেমিফাইনালে জিম্বাবুয়েকে হারানোর মধ্য দিয়ে। এবার নতুন লক্ষ্য বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সে লক্ষ্যে ব্যাংককের তারথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে জাহানারা-সালমারা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আইরিশ নারী ক্রিকেট দলের সামনে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ওপেনার নিগার সুলতানা এবং মিডল অর্ডারে রুমানা আহমেদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর তুলতে সমর্থ হয় জাহানারা আলমরা।ব্যাংককের যে স্টেডিয়ামে ম্যাচ চলছে সেখানকার আগের ম্যাচগুলোর চিত্র বিশ্লেষণ করলে ১০৫ রান খুব কম নয়। অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারণ, এই উইকেটে রান তোলা খুবই কঠিন। তার ওপর বাংলাদেশের বোলাররা রয়েছে এখন দারুন ফর্মে। সুতরাং, ফাইনালেও জাহানারা আলমদের জয় আশা করাই যায়। আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের বিপক্ষে শুরুতেই জয় হয়েছে বাংলাদেশের। কয়েন নিক্ষেপে (টস) জয়ের পর প্রথমেই ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাহানারা আলম। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার শারমিন আকতার এবং নিগার সুলতানা। ২১ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন তারা দু’জন। কিন্তু হঠাৎই ঝড় ওঠে। ঝড়টা তোলেন আইরিশ বোলার সিয়ারা ম্যাটকাফি। তার এক ওভারে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন শারমিন আকতার এবং লতা মন্ডলকে। ১৪ বলে ৯ রান করে ফিরে যান শারমিন। লতা মন্ডল কোন রানই করতে পারলেন না।এরপরই আইরিশ বোলারদের সামনে পর্বতের মত দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে যান নিগার সুলতানা এবং রুমানা আহমেদ জুটি। দু’জন মিলে গড়েন ৭৪ রানের বিশাল জুটি। শেষ পর্যন্ত ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে এই জুটির ওপর আঘাত হানতে সক্ষম হন সেই ম্যাটকাফিই। ৫৭ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন নিগার সুলতানা। তবে রুমানা আহমেদ অপরাজিতই ছিলেন। ৪৩ বলে ৩৮ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন তিনি। ফারাজানা হক অপরাজিত ছিলেন ৬ রানে। সিয়ারা ম্যাটাকাফি একাই নেন বাংলাদেশের তিন উইকেট।এ রিপোর্ট লেখার সময় আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল ব্যাট করতে নেমে গেছে। ১.২ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের রান কোন উইকেট না হারিয়ে ১৪। ক্লেয়ার শিলিংটন ১২ এবং সেসেলিয়া জয়সি রয়েছেন ২ রানে।আইএইচএস/এমএস
Advertisement