আন্তর্জাতিক

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন শিথিল

করোনাভাইরাসের হানায় বিপর্যস্ত ভারতের বেশ কিছু রাজ্য লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েক জায়গায় লকডাউন শিথিলের কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে। প্রায় দু'মাস আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকেই দেশটিতে সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বাড়তে থাকায় বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন জারি করা হয়।

Advertisement

তবে গত কয়েক সপ্তাহে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে কারণ সংক্রমণ ও মৃত্যু সামান্য হলেও কমতে শুরু করেছে। সে কারণেই বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে নেয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।

দিল্লিতে শপিংমল, মার্কেট, দোকান-পাট নির্দিষ্ট সময় ও বিধি-নিষেধ মেনে খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গত ১০ মে থেকে দিল্লির মেট্রো বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ থেকে মেট্রো সার্ভিসও চালু হচ্ছে। তবে ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ মানুষকে সেবা দেয়া হবে। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ৫০ শতাংশ উপস্থিতিতে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

এদিকে, সংক্রমণের মাত্রা, হাসপাতালের অবস্থাসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে মহারাষ্ট্রে পাঁচ দফায় লকডাউন শিথিল করা হবে। অপরদিকে রাজ্যের রাজধানী মুম্বাইয়ে রেস্টুরেন্ট, অনাবশ্যক জিনিসপত্র কেনাবেচার দোকান আজ থেকেই চালু হচ্ছে।

Advertisement

তবে শপিংমল, থিয়েটার এবং মাল্টিপ্লেক্স বন্ধই থাকছে। এগুলো তৃতীয় ধাপে চালু করা হবে। স্থানীয় ট্রেনগুলোতে করে শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা চলাফেরা করতে পারবেন। বাসে স্বাভাবিক সময়ের মতোই যাত্রী বহন করা যাবে তবে কেউ বাসে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন না।

উত্তরপ্রদেশে সব দোকান-পাট এবং মার্কেট খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। বারানসি, মুজাফফরনগর, গৌতম বুদ্ধ নগর এবং গাজিয়াবাদে আজ থেকে সপ্তাহে পাঁচদিন দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে। এসব জেলায় সংক্রমণ ৬শ'র নিচে নেমে আসায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এদিকে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৩৬ জন। এর আগে ৫ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা প্রথমবার ১ লাখ পেরিয়েছিল। তার পর তা বাড়তে বাড়েতে ৪ লাখ ছাড়িয়েছিল।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, করোনায় বিপর্যস্ত ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা যতটা কমেছে, মৃত্যু ততটা কমেনি। যদিও ২৩ এপ্রিলের পর সোমবারই প্রথমবারের মতো আড়াই হাজারের নিচে নেমেছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৪২৭ জনের।

Advertisement

এ নিয়ে ভারতে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৬ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৮৯ লাখ ছাড়িয়েছে।

টিটিএন/এমকেএইচ