দেশজুড়ে

খানাখন্দে ভরা তাড়াশ-নওগাঁর ১০ কি.মি. আঞ্চলিক সড়ক

বর্ষা মৌসুম আসার আগেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার খুটিগাছা থেকে নওগাঁ পর্যন্ত প্রায় ১০ (৯ দশমিক ৯) কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কটির অধিকাংশ স্থান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে এই ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এ সড়কের বেহাল দশার কারণে বর্ষায় জনগণের দুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি, তাড়াশ-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কে কয়েক বছর ধরেই নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এতে বারবার হোঁচট খাচ্ছে উপজেলার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এখন খানাখন্দে ভরে গেছে। যার কারণে এ সড়ক অনেকটাই চলাচলের অনুপযোগী। এ সড়ক দিয়ে নওগাঁর হাটসহ আশেপাশের হাজারও মানুষ ও ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে প্রতিনিয়ত। এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা প্রতি মৌসুমে হাজার হাজার মণ ধান বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করেন।

তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্যা পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের খুটিগাছা মোড় থেকে নওগাঁ হাট পর্যন্ত ৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার সড়ক। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে গত ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর মাসে বন্যা পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটি সংস্কার কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৭৩ টাকা। পরে টেন্ডারের মাধ্যমে ঢাকার ডলি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি ৫৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৮৮ টাকার চুক্তি মূল্যে কাজ পায়। এরপর সড়কের একপাশে ৫ শতাংশ কাজ করে লাপাত্তা হয়ে যায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। এখন পর্যন্ত কাজ বন্ধ রয়েছে। অথচ ওই টেন্ডারে কাজ সমাপ্তির মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, তাড়াশ-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের অবস্থা খুবই লাজুক। কবে নাগাদ এ কষ্টের অবসান হবে সেই অপেক্ষায় আছি। কারণ সাপ্তাহিক নওগাঁ হাট ও মাজারে হাজার হাজার মানুষসহ যানবাহন যাতায়াত করে। আর সড়কটি খানাখন্দে ভরপুর। মাঝেমধ্যেই ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে মানুষদের। তাই দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি করছি। আবার বর্ষাকাল চলে আসছে, সেইসঙ্গে বৃষ্টিতে এ সড়কটি যেন পুকুরে পরিণত হয়। বর্তমানে চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সাইদ বলেন, আগের টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে টেন্ডার দিতে প্রায় বছরখানেক সময় লাগবে। তবে খুব শিগগিরই সড়কটি সাময়িকভাবে মেরামতের কাজ করা হবে যেন লোকজন চলাচল করতে পারে।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এমআরআর/জিকেএস