পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৃদ্ধি পাওয়া কঁচা ও পোনা নদীর পানি ঢুকে পিরোজপুরের ২ হাজার ২০০ পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন পান চাষিরা। ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়েও অনিশ্চয়তা দিন কাটছে তাদের।
Advertisement
তবে ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের সরকারি সহযোগিতার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, জেলায় ৬৯৭ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে সদরে ৮৪ হেক্টর, ইন্দুরকানীতে ১৮ হেক্টর, কাউখালীতে ১০৭ হেক্টর, নেছারাবাদে ১৯৫ হেক্টর, নাজিরপুরে ১৫ হেক্টর, ভান্ডারিয়া ২৩৫ হেক্টর ও মঠবাড়িয়া ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়।
সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন ও ভান্ডারিয়া উপজেলা পানের জন্য বিখ্যাত। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর কোটি টাকার পান ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় রফতানি হয়। স্বাদ ভালো হওয়ায় বাজারে ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে এখানকার পানের।
Advertisement
ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের পান চাষি সনাতন মিস্ত্রি ও সুকন্যা ঘোষ জানান, চলতি মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কঁচা ও পোনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে যায় ৫০ হেক্টর জমির পানের বরজ এবং আংশিক পানি প্রবেশ করে প্রায় ১০০ হেক্টর পানের বরজে। এতে মরে যাচ্ছে গাছ ও নষ্ট হচ্ছে পান। পিরোজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, ‘পিরোজপুর জেলাটি সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। পান এখানকার একটি অর্থকরী ফসল। বারোজীবী সম্প্রদায়ের লোক অতীত থেকে পান চাষ করেই তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। আমাদের এখানে পানের ফলন হেক্টর প্রতি রেকর্ডে আছে ১২ দশমিক ৭৩ মেট্রিক টন। সে হিসেবে আমাদের এখানে গড় প্রায় ৮ হাজার ৮৭৩ মেট্রিক টন পান উৎপাদন হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ৫০ বছর আগে থেকে পিরোজপুরে পান চাষ হয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পানের চাহিদা, বেড়েছে চাষও। চলতি মৌসুমে ইয়াসের প্রভাবে কঁচা ও পোনা নদীর পানি ঢুকে ছোট বড় ২ হাজার ২০০ পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের সহযোগিতা করা হবে।’
এসজে/এমকেএইচ
Advertisement