দেশজুড়ে

বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থী তুষ্টির মা

রাজধানীর আজিমপুরের সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার থেকে ঢাবি ছাত্রী ইসরাত জাহান তুষ্টির (২১) মরদেহ উদ্ধারে গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

Advertisement

রোববার (৬ জুন) দুপুরে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের নীলকণ্ঠপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। মেধাবী এ ছাত্রীর অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই।

তুষ্টির চাচা ঈমাম হোসেন বলেন, ধর্মরায় রামধনু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে তুষ্টি। পরে মদন উপজেলার জোবাইদা রহমান মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তুষ্টি খুব মেধাবী ছিল। তারা তিন ভাই এক বোন। বড়ভাই মাসুদ মিয়া সৌদি আরবে থাকে। তুর্জয় মিয়া অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আরেক ভাই মাহির বয়স ছয় বছর।

তার আরেক চাচা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমাদেরে বংশের গৌরব ছিল তুষ্টি। তার কোনো অসুখ ছিল না। এই ঘটনা কেন ঘটল বুঝতে পারছি না। এর সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে বিচার চাই আমরা।

Advertisement

এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে হেনা আক্তার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। এত কষ্ট করে মেয়েকে লেখাপড়া করাইছি। কেন এই সর্বনাশ হল আমার? আমার মেয়েকে এনে দাও বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর ইকবাল বলেন, তুষ্টির মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছে। তার বাবা ঢাকার লালবাগ থানা পৌঁছেছেন।

এর আগে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান তুষ্টিকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

করোনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ থাকায় ইসরাত জাহান তুষ্টিসহ তিন বান্ধবী স্টাফ কোয়ার্টারের ওই ভবনের নিচতলায় থাকতেন। যদিও তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে সংযুক্ত ছিলেন।

Advertisement

এইচ এম কামাল/আরএইচ/এএসএম