ফারাজী আজমল হোসেন
Advertisement
করোনা মহামারিতে প্রকম্পিত বিশ্ব। বিশ্বের সকল দেশের বাজেটেও ছিলো তার ছাপ। এই মহামারির কারণে যেখানে অধিকাংশ দেশের জিডিপি ঋণাত্মক, সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য দেশের বাজেট দেখে বাংলাদেশের বাজেটকে তুলনা করা হবে নিছক বোকামি। আর সে কারণেই করোনা মহামারিতে উন্নয়নমুখী বাজেট যথার্থ।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বহুযুগ আগে একটি কবিতা লিখেছেন এই বাংলার মানুষের জন্য, 'সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়ঃ; জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।' বাংলাদেশের মানুষের এই মাথা নোয়াবার নয় মানসিকতার কল্যাণে ১৯৭১ সালে আমরা মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলাম। তেমনিভাবে যুদ্ধ পরবর্তী মাত্র ২ বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো দেশের অর্থনীতি। অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি শক্তিগুলোর ষড়যন্ত্রের কারণে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা পরিবারের ১৭ সদস্যসহ নিহত না হলে হয়ত এতদিনে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে যাবার জন্য হাঁটতো। কিন্তু সেই পথ ধ্বংস করে দেয়ার পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আবারো বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে যেতে বাংলাদেশকে যেই পথে হাঁটতে হবে তা অর্জনের জন্যই এবারো উন্নয়নমুখী বাজেট পরিকল্পনা করেছে সরকার যার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে গ্রামে প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন।
মহামারিকালের দ্বিতীয় বাজেটে গ্রামের উন্নয়নে ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই অঙ্ক বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি। বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৩৮ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রণীত দেশের সংবিধানে ১৬নং অনুচ্ছেদে নগর ও গ্রামের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চল বৈদ্যুতিকীকরণের ব্যবস্থা, কুটির শিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনগণের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
Advertisement
বঙ্গবন্ধুর সেই অঙ্গীকারকে বাস্তবে পরিণত করেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থমন্ত্রী সংসদে জানান, ৭ হাজার ৮৮৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই ২০০৯ হতে জুন ২০২১ মেয়াদে সারা দেশে ‘আমার বাড়ি আমার খামার' প্রকল্পের আওতায় ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার পরিবারকে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন, ১ লাখ ২০ হাজার ৪৬৫টি গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠন এবং সমিতিতে আবর্তক ঋণ তহবিল বাবদ ২ হাজার ৯৯১ কোটি ২৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্রমপুঞ্জিত বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ হাজার ৮০৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। পারিবারিক বলয়ে ৩২ লাখ ৪৯ হাজার আয়বর্ধক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষি খামার সৃজিত হয়েছে।
এ ছাড়াও উপকারভোগীদের কৃষিজ উৎপাদনে বিভিন্ন ট্রেডভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫১৮ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃজনের জন্য বাছাইকৃত ৬৪ হাজার ২৩৫ জন গ্র্যাজুয়েট সদস্যের মাঝে মোট ৩২১ কোটি ১৭ লাখ টাকা এসএমই ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যে সবার আগে কৃষি উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি দিয়েছিলেন। আধুনিক কৃষি উপকরণ ও অধিক উৎপাদনশীল বীজ ব্যবহারকে উৎসাহিত করেছেন তিনি। শীতকালীন শস্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। পানি সেচের জন্য গভীর নলকূপ ও পাওয়ার পাম্প স্থাপন ও সেচের নালা নির্মাণের জন্য কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সরকারিভাবে সবচাইতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে এই কৃষি খাতকে। আর সে কারণেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে বাংলাদেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে।
এবারের বাজেটে সরকারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্যে ২০ বছর পর্যন্ত কর ছাড়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শিল্পের প্রসার ঘটাতে বিদেশ নির্ভর পণ্য যেমন থ্রি হুইলার বা ফোর হুইলার কার দেশে উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগ করলে এ ক্ষেত্রে ২০ বছর পর্যন্ত সরকারকে কোন কর প্রদান করতে হবে না। এর মাধ্যমে দেশে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো সম্ভব। সেই সঙ্গে বড় শিল্প স্থাপিত হলে তার সঙ্গে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। এ ছাড়াও দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় কর অবকাশ সুবিধার প্রস্তাবে নতুন বাজেটে স্থানীয় শিল্প, হাসপাতাল, অটোমোবাইল, কৃষি প্রক্রিয়াজাত, গৃহস্থালি সরঞ্জাম শিল্প স্থাপন করলে ১০ বছর কর সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ কর অবকাশের আওতা বাড়ানো হয়েছে। রাজধানী ঢাকার বাইরে ২৫০ শয্যার নতুন হাসপাতাল ও ক্লিনিক বানালে ১০ বছর পর্যন্ত কোনো কর দিতে হবে না। এ ছাড়া নতুন অটোমোবাইল শিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াজাত ফল, দুগ্ধ উৎপাদন শিল্পকে একই সময়ের জন্য কর সুবিধা দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির ২২টি খাত করমুক্তির সুবিধা পাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন করে আরও ছয়টি খাতকে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হলো ক্লাউড সার্ভিসেস, সিস্টেম ইন্ট্রিগ্রেশন, ইলানিং প্লাটফর্ম, ই-বুক পাবলিকেশনস, মোবাইল অ্যাপস ও আইটি ফ্রিলেন্সিং। শুধু তাই নয়, অনলাইনকেন্দ্রিক বাণিজ্য বা ই-কমার্সের ক্ষেত্র বাড়াতে চায় সরকার। খাতটি দিয়ে তাই আরও কর্মসংস্থান তৈরি করতে পাঁচ হাজার নতুন উদ্যোক্তাকে ই-কমার্স বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে নতুন অর্থবছরে। ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে আইটি সেক্টরে এরই মধ্যে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
Advertisement
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে চলতি বাজেটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী উন্নয়ন ও নারী কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিশ্ব জুরে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এবারের বাজেটেও নারী উন্নয়নে রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বার্ষিক ৫০ লাখ টাকা লেনদেনে কোনো কর দিতে হয় না। নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে আগ্রহ বাড়াতে করমুক্ত লেনদেন সীমা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এত দিন আলাদা কোনো কর অব্যাহতি ছিল না। পুরুষ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের ব্যবসা করতে হয়। তাই আগামী বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতেই নতুন এই উদ্যোগ।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার শিক্ষা ও গবেষণা খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করেছে এবারের বাজেটে। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে ৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। বরাদ্দ থাকছে ৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৬৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। চলতি শিক্ষা বাজেটের চেয়ে বরাদ্দ বেড়েছে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। সেই সঙ্গে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে স্বাস্থ্য গবেষণা খাতকে। স্বাস্থ্য খাতের টেকসই অর্জন ও ভবিষ্যতে মহামারির আঘাত থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি খাতে গবেষণার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
গত বছরও ছিলো এই বরাদ্দ। এর পাশাপাশি দেশের সকল জনগণের কাছে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে বাজেটে থাকছে বাড়তি বরাদ্দ। দেশের সব নাগরিককে বিনা মূল্যে করোনাভাইরাস-প্রতিরোধী টিকা দিতে চায় সরকার। এর অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় ডোজ কিনতে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসা খাতের অন্যান্য সংকট মোকাবিলায় প্রস্তাবিত বাজেটে চলতি অর্থবছরের তুলনায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ১১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) চেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ ৩ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ২৯ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা।
বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৭২৬ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ করেছে সরকার। এটি মোট বাজেটের সাড়ে ৪ শতাংশ। আরও ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র আর একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। ২০০৯ সালের তুলনায় বর্তমানে ৫ গুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ) ২৫ হাজার ২২৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
দরিদ্র বিমোচন ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে আসছে অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশে বেঁধে রাখার আশা করছে সরকার। বিগত বছর ৫.৪ শতাংশে বেঁধে রাখার কথা বলা হলেও প্রকৃত অর্থে তা ছিলো ৫.৬৩ শতাংশ। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে থমকে যাওয়া অর্থনীতি সচল করতে বাজারে বাড়তি মুদ্রাপ্রবাহের কারণে এটি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরও এই ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির এই ঝুঁকির কারণে যেন দরিদ্র শ্রেণী কষ্ট না পায় সে জন্য ১ কোটির বেশি গরিব মানুষকে সরাসরি সরকারি ভাতার আওতায় আনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বেগবান করা এবং শ্রমিক ছাটাই বন্ধে বাজেটে প্রণোদনাসহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
করোনা মহামারির সংক্রমণের প্রভাবে সৃষ্ট শ্রম পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং চলমান শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে ২৩টি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায়ই এই কমিটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের মধ্যে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৬৮০ জনকে ১১টি অগ্রাধিকারভুক্ত শিল্প ও সেবা খাতে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও জানানো হয় বাজেট অধিবেশনে।
সেই সঙ্গে সার্বিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ৩ এবং অতিদারিদ্র্যের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে বলেও ঘোষণা করা হয় বাজেটে। সেই সঙ্গে মহামারীর কারণে যতদিন প্রয়োজন প্রণোদনা দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষকে এক বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই স্বপ্ন পূরণের পথেই হেঁটেছিলেন তিনি। জাতির পিতা ৪ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দেশকে উন্নয়নের সোপানে নিয়ে আসতে গ্রহণ করেছিলেন অসাধারণ সব পরিকল্পনা। আজ তার কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই পরিকল্পনাগুলো আরো আধুনিক রূপে বাস্তবায়িত হচ্ছে। উন্নয়নমুখী এই বাজেটে মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষা-গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বড় শিল্প প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উৎসাহিত করা হয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের। এমন বাজেটেই মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নেবে বাংলাদেশ। গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
এইচআর/এএসএম