জাতীয়

সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বিকাশ ও এ অঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শনিবার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা জানান তিনি।হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে।তিনি বলেন, আমৃত্যু গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক অনন্য নাম। তিনি ছিলেন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।রাষ্ট্রপতি বলেন, সোহরাওয়ার্দী তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকালে শ্রমজীবীসহ এতদঞ্চলের অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় তৎপর ছিলেন।কলকাতায় মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে সোহরাওয়ার্দী স্বল্পসময়ের মধ্যে নাবিক, রেলকর্মচারী, পাটকল ও সুতাকল কর্মচারী, রিকশাচালক, গাড়িচালকসহ নানা শ্রেণি পেশার মেহনতি মানুষের প্রায় ৩৬টি ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলেন বলেও রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।আবদুল হামিদ বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক সংগঠক। ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে তিনি ১৯২৬ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি, ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন।তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয়ের পেছনেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আত্মার মাগফিরাতও কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।একে

Advertisement