খেলাধুলা

প্রোটিয়াদের ফলো অন করালো না ভারত

ভারতের করা ৩৩৪ রানের জবাব দিতে নেমে পুরো দুই সেশনও খেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দিনের ৩৩ বল বাকি থাকতেই তারা অলআউট ১২১ রানে। অথ্যাৎ স্বাগতিক ভারতের চেয়ে ২১৩ রানে পিছিয়ে থেকেই অলআউট হয়ে গেলো প্রোটিয়ারা।নিয়ম অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলোঅন করাতে পারতো ভারত। কারণ, প্রথম ইনিংসে অন্তত ভারতের চেয়ে ২০০ রানের ব্যবধানে পেছনে রয়েছে সফরকারীরা। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রোটিয়াদের ফলো অন করালো না ভারত। বরং নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার। ফলো অন করালে অবশ্য ইনিংস ব্যবধানে জয় পেতেও পারতো বিরাট কোহলির দল। তাতে করে টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে এক নম্বরে থাকা দলটির বিপক্ষে গৌরবময় এক জয়ই পেয়ে যেতো তারা।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে বিপদে পড়লেও আজিঙ্কা রাহানের অনবদ্য সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩৩৪ রানের ‘বিশাল’ ইনিংস গড়ে তোলে ভারত। চার টেস্টের এই সিরিজে (এটি শেষ ম্যাচ) ৩৩৪ রানের এই ইনিংসটিই সবচেয়ে বড়। এর আগে পুরো সিরিজে সবচেয়ে বেশি স্কোর ছিল ২১৫ রানের। ১২৭ রান করে আউট হন রাহানে। ক্যারিয়ারে ৫ টেস্ট সেঞ্চুরির মধ্যে ভারতের মাটিতে এটাই তার প্রথম। ঘরের মাঠে এর আগে রাহানের সর্বোচ্চ রান ছিল ১৫। সেটাকে এবার তিনি টেনে নিয়ে গেলেন ১২৭ রান পর্যন্ত।জবাব দিতে নেমে প্রোটিয়ারা আজিঙ্কা রাহানের রানটাও করতে পারেনি। থেমেছে রাহানের একার ইনিংসের ৬ রান দুরে থাকতে। ২১৩ রানের লিড পেয়েও ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় কোহলিরা।তবে মজার বিষয় হলো, দিনের খেলা তখনও ৩৩ বল বাকি ছিল; কিন্তু প্রোটিয়া পেসারদের মোকাবেলা করতে হবে দেখে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে এই কয়েক ওভার খেলার জন্য আর মাঠেই নামেনি ভারত। বিরাট কোহলিরা যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়। তবুও তারা মাঠে নামতে প্রস্তুত। এ সময় আম্পায়ার প্রোটিয়া অধিনায়ক আমলাকে জিজ্ঞাসা করেন কোন বোলার ব্যবহার করবেন তিনি। আমলা জবাব দেন, পেস বোলার। এটা শুনেই আম্পায়ার দিনের খেলা সমাপ্তি ঘোষণা করেন। কারণ, পেস বল মোকাবেলার জন্য তখন পর্যাপ্ত আলো ছিল না।আইএইচএস/পিআর

Advertisement