নেত্রকোণার বারহাট্টায় শিক্ষক খুনের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে সহকর্মীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা করায় হুমকিতে আছে নিহত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা। তবে পুলিশের দাবি ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামিসহ তিন জনকে গ্রেফতার করায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে পরিবারে রয়েছে আহাজারি ও আতঙ্ক। এছাড়া খোঁজ খবর না নেয়ার অভিযোগও রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা স্কুল পরিচালনা কমিটির লোকজনকে ভাগাভাগি করে না দেয়ায় বুধবার সকালে খুন হন বারহাট্টা উপজেলার রামপুর দশাল গ্রামের বাসিন্দা ও মনাষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্জুন বিশ্বাস। অর্জুন বিশ্বাসের সঙ্গে কমিটির লোকজনের স্কুলের হিসাব সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরেই। নিয়মিত স্কুলে না এসেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা নিয়ে ঝামেলা চলছিল সহকারী শিক্ষক ভাসানির সঙ্গে। আর এই বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন নিহত শিক্ষক অর্জুন বিশ্বাসের স্ত্রী মায়া রাণী সরকার। মাত্র ১৫/২০ দিন আগে এই সহকারী শিক্ষক স্কুলেই মারধর করেন প্রধান শিক্ষক অর্জুন বিশ্বাসকে। জাগো নিউজকে এ অভিযোগ করেন নিহত শিক্ষক অর্জুন বিশ্বাসের ছোটভাই কাজল বিশ্বাস। খুনের ঘটনা স্বচক্ষে দেখা এই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সাফিয়া সুলতানা সুমি ঘটনার পর থেকে রয়েছেন বাকরুদ্ধ। তাকে আগামীকাল (শনিবার) ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেয়া হবে। সুমির ভগ্নিপতি সাবেক বারহাট্টা উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল কবীর খোকন এ তথ্য জানান।প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ধরনের কমিটি সংস্কার কিংবা বাতিল করাসহ বিচার নিশ্চিত করার দাবি করেন বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ তালুকদার ।মামলা করার পর মামলার আসামি সহকারী শিক্ষক ভাসানির লোকজন হুমকি দিচ্ছে বলে জাগো নিউজকে জানান নিহতের শিক্ষকের ছোট ভাই কাজল বিশ্বাস। ঘটনার পর পুলিশ কোনো খোঁজ নিচ্ছেনা বলেও অভিযোগ তার।তবে পুলিশের দাবি ঘটনার মূল আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ও গ্রেফতার করা হবে বলে জানান বারহাট্টা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছালেমুজ্জামান।কামাল হোসাইন/এমএএস/পিআর
Advertisement