আন্তর্জাতিক

ভারতে করোনায় সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে এক মাসের মধ্যে পেনশন

ভারতে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সরকারি কর্মীদের জন্য পেনশনের নিয়ম আরও সহজ করল দেশটির কেন্দ্র সরকার। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।

Advertisement

ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভারতের সরকারি কোনো কর্মচারী করোনায় মারা গেলে তার পরিবারকে এক মাসের মধ্যে পেনশন দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কোভিডের কারণে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে তার পরিবার সমস্যায় পড়েছে। এমন অবস্থায় দ্রুত ওই পরিবারের হাতে যাতে পেনশন পৌঁছে দেয়া যায়, সে জন্যই এই পদক্ষেপ। ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই তাদের কর্মীদের পরিবারের জন্য এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ডেথ সার্টিফিকেট জমা করে আবেদন করলেই পেনশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ফলে কম সময়ের মধ্যে পেনশনের টাকা ওই পরিবারগুলোর হাতে আসবে।

সরকারি ডেথ সার্টিফিকেট পেতেও অনেক সময় দেরি হয়। তাই সেই চূড়ান্ত ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার আগে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের দেয়া সার্টিফিকেট দিয়েও পেনশনের আবেদন করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল।

Advertisement

দেশটির রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভারতীয় রেলের অনেক কর্মীর পরিবার পেনশন এবং পিএফের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কারণ সময় মতো ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দেরি হচ্ছে পেনশন বা পিএফের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে। সে কারণেই হাসপাতালের সার্টিফিকেট দিয়েই পেনশনের আবেদন করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

করোনায় ভারতের সরকারি কর্মীদের মৃত্যুতে তাদের পরিবার যাতে দ্রুত পেনশন পায় তার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। তিনি বলেছিলেন, ‘কর্মরত কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের লোক যদি ডেথ সার্টিফিকেট জমা দেন এবং পেনশনের দাবি করেন, তাহলে শর্তসাপেক্ষে তৎক্ষণাৎ তা মঞ্জুর করা হবে। সে ক্ষেত্রে চিরাচরিত পদ্ধতির শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।’

অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

ভারতের ১৯৭২-এর সিসিএস (পেনশন) ৮০এ-র নিয়ম অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসে (পিএও) পেনশনের বিষয়টি পাঠানো হয়। এর পর যাবতীয় নিয়ম পার করে পেনশন হাতে পান পরিবারের সদস্যরা। আর এতে অনেক সময় লেগে যায়।

Advertisement

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

এমআরআর/জিকেএস