গত এক দশকে বিশ্বে খাদ্যমূল্য বেড়েছে সর্বোচ্চ গতিতে। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) খাদ্যমূল্য সূচকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
Advertisement
এফএও’র হিসাবে, গত মার্চে বার্ষিক খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির হার ছিল ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০১০ সালের অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ।
সংস্থাটি মূলত সেরেয়াল (খাদ্যশস্য), তেলবীজ, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস ও চিনি- এই পাঁচটি খাদ্যপণ্যের দামের ওপর ভিত্তি করে সূচক নির্ধারণ করে।
দেখা যায়, এর সব কয়টি পণ্যেরই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে ভোজ্যতেল, শস্যদানা ও চিনির।
Advertisement
এর ফলে ২০১১ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে জাতিসংঘের এই খাদ্যমূল্য সূচক।
বলা হচ্ছে, বেশ কিছু দেশে ব্যাপক চাহিদাবৃদ্ধি এবং উৎপাদন ঘাটতির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চলাচলে বিধিনিষেধের কারণে স্থানীয় বাজারে পণ্য সরবরাহ কমে গেছে এবং দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, উচ্চচাহিদা এবং স্বল্প উৎপাদনের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে।
অবশ্য লকডাউন শেষে কিছু কিছু শিল্পে দ্রুত পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
এফএও’র পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছর বিশ্বে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন হতে পারে, যা দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি সামলাতে কিছুটা সাহায্য করবে।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/এএসএম