খেলাধুলা

৩৩৪ রানে থামলো ভারত

স্পিন সাম্রাজ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাও ছড়ি ঘোরানোর সাহস দেখিয়েছিল। ড্যান পিটের সাফল্যে শুরুতে চেপে ধরতে পেরেছিল ভারতীয় টপ অর্ডারকে; কিন্তু মিডল অর্ডারে আজিঙ্কা রাহানে যেভাবে ব্যাট হাতে পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেন, তাতে ব্যাকফুটে যেতেই বাধ্য হয় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে।৮৯ রানে প্রথম দিন শেষ করা রাহানে দ্বিতীয় দিন এসে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিটা তুলে নিতে ভুল করেননি। দিনের ১৪তম ওভারে কাইল অ্যাবটের বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দু’টো হাত উপর দিকে তুলে রাহানে জানান দিলেন আগামী দিনে তার ব্যাটিং প্রতিভার বার্তা। সম্ভবত দলের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শতরানটি করে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় ভারতকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দিলেন তিনি। মধ্যাহ্ন বিরতির পর অলআউট হওয়ার আগে স্পিন সহায়ক উইকেটে ৩৩৪ রানের ‘বিশাল’ স্কোর গড়ে ভারত। ৩৩৪ রান টেস্ট ক্রিকেটে বড় কোন স্কোর নয়; কিন্তু কোটলায় এটাকে বিশাল বলতেই হচ্ছে। কারণ ভারতীয়দের উইকেটের চরিত্র এবং পুরো সিরিজের চিত্র বিশ্লেষণ করলে ৩৩৪ অনেক বড় স্কোরই বটে।বৃহস্পতিবারের ৬ উইকেটে ১৩৯ থেকে প্রথমে রবিন্দ্র জাদেজা এবং পরে অশ্বিনকে নিয়ে লড়াই চালান রাহানে। অষ্টম উইকেটে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপও করে রাহানে-অশ্বিন জুটি। সিরিজের প্রথম সেঞ্চুরি করে ১২৭ রানে ইমরান তাহিরের বলে আউট হন তিনি। স্পিনার অশ্বিন যেন জানেন কিভাবে স্পিন সামলাতে হয়। প্রোটিয়া পেসারদেরও বেশ ভালোভাবে সামলেছেন তিনি। ফলে যখন কাইল অ্যাবোটের বলে ডি ভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন, তখন দেখা গেলো তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৫৬ রান। নবম উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ উমেষ যাদবকে নিয়ে ৫৩ রান যোগ করে অশ্বিন। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে কাইল অ্যাবট নেন পাঁচ উইকেট। ড্যান পিট নেন ৪টি। বাকি উইকেটটি গেলো ইমরান তাহিরের পকেটে।আইএইচএস/পিআর

Advertisement