খেলাধুলা

ছক্কা মেরে পরের বলেই আউট সাব্বির

দলে বেশ কয়েকজন তরুণ উদীয়মান ব্যাটসম্যান রয়েছেন। তারা কেউ সে অর্থে জ্বলে উঠতে পারেননি। লেজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের হয়ে রান যা করার, করলেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটার; নাঈম ইসলাম ও সাব্বির রহমান রুম্মন।

Advertisement

অধিনায়ক নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকেই এলো সর্বাধিক ৩৮ রান। সেটাও যে খুব ঝড়ের বেগে, তা নয়। নাঈম ঐ রান করতে খেলেছেন ২৮ বল। তবে তার খেলায় আস্থার ছাপ ছিল। যে বল যেখানে খেলতে চেয়েছেন, পেরেছেন। বিশেষ করে অনসাইডে বেশ কিছু দারুণ শট খেলেছেন জাতীয় দলে সাবেক হয়ে পড়া নাঈম।

লেগ-মিডল স্টাম্পে পড়া ডেলিভারি তো বটেই, অফ-মিডলে পিচ করা বলকেও অবলীলায় স্কয়ার লেগ আর ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানাছাড়া করেছেন রুপগঞ্জ অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকে আসা ৪ বাউন্ডারির অন্তত তিনটি ঐ স্কয়ার লেগ আর মিডউইকেটের মাঝখান দিয়ে। আর ইনিংসে হাঁকানো একমাত্র ছক্কাটি হাঁকিয়েছেন ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে।

বাঁহাতি স্পিনার নাঈম ইসলাম জুনিয়রের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিকে পেছনের পায়ে ভর করে কাট খেলতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগপর্যন্ত নাঈমের প্রায় সব শটই ছিল পারফেক্ট।

Advertisement

নাঈমের এই ইনিংসটির মত না হলেও রুপগঞ্জের হয়ে ২৩ (১৮ বলে) রানের ইনিংস খেলেছেন সাব্বির। ব্রাদার্সের বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিবের বলে হার্ডহিটার সাব্বির ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি হাঁকিয়েছেন ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে। ঠিক পরের বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে একদম সীমানার কাছে ক্যাচ তুলে বিদায় নিয়েছেন তিনি।

অধিনায়ক নাঈম আর সাব্বির ছাড়া আর একজন মাত্র ব্যাটসম্যান দুই অংকে পা রেখেছেন, তিনি উইকেটকিপার জাকের আলি। তার সংগ্রহ ছিল ১২ রান। মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান যে দলের দুই অংকে পৌঁছায়, সে দলের রান আর কত হতে পারে? মাত্র ১১১ রানের (১৯.১ ওভারে) মামুলি সংগ্রহে শেষ হয়ে গেছে রুপগঞ্জ ইনিংস।

এর মধ্যে শেষ তিন উইকেটে পড়েছে কোন রান যোগ না করেই। শেরে বাংলায় এ ম্যাচের প্রথম অংশের নায়ক পেসার আলাউদ্দিন বাবু। অনবদ্য হ্যাটট্রিক করেছেন এ মিডিয়াম পেসার। অনেক সম্ভাবনা নিয়ে আসা এ পেসার মাঝেমধ্যে আলো ছড়ালেও ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলতে পারেননি। যে কারণে তার ভাল অলরাউন্ডার হয়ে ওঠাও সম্ভব হয়নি।

তবে আজ পরপর তিন বলে তিন উইকেট হারিয়ে একটি অন্যরকম কৃতিত্ব দেখালেন বাবু। ডানহাতি এ পেসার তার তৃতীয় ওভারের পঞ্চম, ষষ্ঠ আর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে যথাক্রমে মুক্তার আলি, সোহাগ গাজী ও নাবিল সামাদের উইকেট নিলে শেষটা বেশি খারাপ হয় রুপগঞ্জের।

Advertisement

আলাউদ্দিন বাবু ২১ রানে ৪ উইকেট দখল করে ব্রাদার্সের সেরা বোলার হলেও, তাকে ভাল ব্যাকআপ করেছেন পেসার সুজন হাওলাদার ও বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিব। তারা দুজনই দুটি করে উইকেট পেলে ব্রাদার্সের লড়িয়ে পুঁজি গড়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া আরেক পেসার মানিক খান ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় নিয়েছেন ১টি উইকেট।

এআরবি/এসএএস/জেআইএম