আমাদের দিনকাল
Advertisement
আমাদের তারুণ্যে আমরা বুঁদ হয়ে ছিলাম চে গুয়েভারা’য় কিংবা আবুল হাসানে,আমাদের স্বপ্নভরা বিপ্লবী ঢেউয়ে সারাদেশ ভেসে যেত, সারা শহর রঙিন কোলাহলে জেগে থাকত।
আমাদের তারুণ্যে টলমল পদ্মা নদী বঙ্গোপসাগরে মিলিয়ে যাওয়া দেখলে, অবাক বিস্ময়ে তোমার নরম হাতটা শক্ত করে চেপে ধরতাম, তোমার দুর্বোধ্য সাগরে আমিও লীন হয়ে যেতে চাইতাম।রাস্তায় ভিখারি ভিক্ষা চাইতে এলে হাত ধরে নিয়ে চলতাম, প্রণোদনা দিয়ে বলতাম, অন্ধকার ছেড়ে স্বাবলম্বী হও সোনালি কুসুম।মাঠভর্তি সবুজ ধানখেতে শালিক উড়তে দেখলে, মনে হতো, শরৎ কি এসে গেল দূরের কাশফুলে। মনে আছে ঘর্মাক্ত দিনশেষে ঘরে ফিরলে,কেউ একজন সুহাস্য নারী অপেক্ষার দরজা খুলে দিত, মায়াভরা একগ্লাস জল আর পরম শান্তি বিলিয়ে দিত বুকের আঁচলে।
আমাদের তারুণ্যে বুকে অমরতা ছিল, ছিল ঢলভাঙার গান নদীর ধারে;ঘোরলাগা তারুণ্য এখন সন্তর্পণে বনবাসে যায়, আগুনে পোড়ায় সবুজ বনভূমি, রাস্তায় পড়ে থাকা সকালের শিউলি ফুলকে বুলেটের খোসা ভেবে দিন পার করে।
Advertisement
এসইউ/জেআইএম