আইন-আদালত

বিএনপি নেতা আসলামের জামিন বহাল, তবে মিলছে না মুক্তি

নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালতে।

Advertisement

হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানি নিয়ে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ৬ জুন শুনানির জন্য ঠিক করেছেন। ফলে আসলাম চৌধুরীর জামিন বহালই থাকছে। কিন্তু অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর কারণে জামিন বহাল থাকলেও তার এখনই মুক্তি মিলছে না।

বুধবার (২ জুন) আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ড. মো. বশির উল্লাহ।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (১ জুন) আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বারজজ আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরশেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ড. মো. বশির উল্লাহ।

Advertisement

অন্যদিকে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান হাসিব।

এর আগে গত রোববার (৩০ মে) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের শুনানিতে কোনো আদেশ না দিয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ জানান, নাশকতার অভিযোগে রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালি থানায় ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং একই বছরের ২২ এপ্রিল অপর মামলাটি শাহবাগ থানায় করা হয়। এই দুটি মামলায় কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীকে আসামি হিসেবে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মামলায় তিনি হাইকোর্টে জামিন পান।

২০২৬ সালের ২৬ মে নগরীর গুলশান থানায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর দণ্ডবিধির ১২০/বি (রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র), ১২১/এ (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ষড়যন্ত্র) এবং ১২৪/এ (রাষ্ট্রদ্রোহ) ধারায় মামলাটি করা হয়।

Advertisement

দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১ (৩) ও ১২৪ (এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করে ‘বাংলাদেশ সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ’ আনা হয়।

ওই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে আসলাম চৌধুরী হাইকোর্টে আবেদন করেন। এরপর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে রুল জারি করে আসলামকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। পরে ২০১৭ সালের ১৮ মে ওই রুলের শুনানি নিয়ে তার জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

২০১৬ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

এফএইচ/জেডএইচ/এএসএম