প্রতি বছরের মতো এবারও আম সংগ্রহ এবং পাল্পিং কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের সর্ববৃহৎ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ। ম্যাংগো ড্রিংক, জুস, ম্যাংগো বারসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করতে পাকা আম সংগ্রহ করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে (বিআইপি) আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সারোয়ার হোসেন। একই সময়ে নাটোর একডালার প্রাণ এগ্রো কারখানায়ও আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
বিআইপি’র কারখানার প্রধান সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, পাবনা ও এর আশপাশের অঞ্চল আমের জন্য বিখ্যাত। গোদাগাড়ীতে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আম এবং নাটোর, নওগাঁ, পাবনাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার আম নাটোর কারখানার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। কারখানায় ১ জুন থেকে গুটি আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চলবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এরপর আশ্বিনা আম থেকে পাল্প সংগ্রহ শুরু হবে। আমের সরবরাহ থাকা সাপেক্ষে কারখানায় আম সংগ্রহ চলবে আগস্ট পর্যন্ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘কারখানায় অত্যাধুনিক মেশিনে সম্পূর্ণ অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে আমের পাল্পিং করা হচ্ছে। অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে পাল্প সংরক্ষণ হওয়ায় দুই বছর পর্যন্ত তা ব্যবহার উপযোগী থাকে। প্ল্যান্টে আম পরিষ্কার, বোটা ও খোসা সরানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পাল্প প্যাকেটজাত থেকে শুরু করে এর সঙ্গে জড়িত সব কাজ সম্পূর্ণ হাতের স্পর্শ ছাড়াই করা হচ্ছে। আমের বর্জ্য দুটি অংশ বিভক্ত হয়ে খোসা থেকে জৈব সার এবং আটি থেকে জ্বালানি তৈরি হওয়ায় কারখানা সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। বিআইপি কারখানায় প্রতিদিন ৪৫০ টন এবং নাটোর এগ্রো কারখানায় ২০০ টন আম ক্র্যাশিং করার সক্ষমতা রয়েছে।’
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ-এর বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো চলতি মৌসুমেও নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনাসহ কয়েকটি জেলা থেকে আম সংগ্রহ করছে প্রাণ। সংগ্রহের পর এসব আম পাল্পিংয়ের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে রাজশাহী ও নাটোরের কারখানায়। এই পাল্প থেকেই সারাবছর তৈরি হচ্ছে ম্যাংগো ড্রিংক, জুস, ম্যাংগো বারসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী, যা বিশ্বের ১৪৫টি দেশে নিয়মিত রফতানি হচ্ছে।’
Advertisement
এআরএ/এমএস