বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সবচেয়ে সঠিক ইতিহাস হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র’ অনলাইনে পিডিএফ ফরম্যাট থেকে ইউনিকোড ফন্টে রুপান্তরের কাজ ব্যক্তিগতভাবে শুরু করেছেন কয়েকজন তরুণ তরুণী। ইতিমধ্যে তারা স্বাধীনতার দলিলপত্রের সমগ্র খণ্ডের ১২ হাজার পৃষ্ঠার মধ্যে প্রায় ৬ হাজার পৃষ্ঠা পিডিএফ ফরম্যাট থেকে অনলাইন ইউনিকোডে রুপান্তরও করেছেন।তাদের এ যুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছর সময় লাগবে বলা জানান তারা। এ মহতী কাজে শতাধিক তরুণ-তরুণী ফেসবুকের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে কাজ করছেন। দেশের তরুণ তরুণীদের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি তরুণ তরুণীরাও এ কাজে যোগ দিয়েছেন। তারা নিরলসভাবে কাজ করে ইতিমধ্যে ছয় হাজার পৃষ্ঠার বাংলা কম্পোজিং এর পাশাপাশি ছয় হাজার পৃষ্ঠার অনুবাদের কাজও শেষ করছেন।তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ও হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ১৫ খণ্ডের এই বিশাল সংকলনটি বাংলাদেশের সব সরকারের আমলেই পুনর্মূদ্রণ হয়েছে বড় ধরনের সংযোজন বা বিয়োজন ছাড়া। এটি অনলাইনে পিডিএফ ফরম্যাটে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এতে সব সময় প্রয়োজনীয় ইতিহাস ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে পাওয়া যায় না। সার্চ ইঞ্জিনে ইউনিকোড ফন্টের লেখা যেকোন অংশ পাওয়া যায়।তরুণ-তরুণীরা জানান, আমরা যারা পিডিএফ থেকে অনলাইন ইউনিকোড ফন্টে রুপান্তরের কাজ করছি, তারা একইসঙ্গে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারছি। হয়ত এ রুপান্তরের কাজ না করলে ইতিহাসের বৃহৎ অংশ আমাদের কাছে অজানাই থেকে যেত।উদ্যোক্তাদের একজন ডা: শাহরিয়ার রাফি জাগো নিউজকে বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে যে কোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। আমাদের এ কাজ ভার্চুয়াল জগত থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি হঠানোর প্রথম পদক্ষেপ। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে রাফি আরো বলেন, আমাদের স্বাধীনতার দলিলপত্র ইউনিকোড ফন্টে রুপান্তরের কাজ শেষ হলে এটি দিয়ে অ্যান্ড্রোয়েট অ্যাপ্লিকেশন, ইউটিউবে মহান স্বাধীনতার বিভিন্ন ভিডিও তথ্য চিত্র সংগ্রহ করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করব। স্বাধীনতা দলিল পত্রের ১৫ খণ্ডের মধ্যে ইতিমধ্যে ৮ম খণ্ডের কাজ শেষ করেছেন তারা। আংশিক সমাপ্ত কাজগুলো ফেসবুক ফ্যান পেইজে শেয়ার করছেন। তাদের পেইজটির নাম ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র থেকে বলছি’।সুব্রত মণ্ডল/এআরএস/আরআইপি
Advertisement