আফগানিস্তানের শান্তি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌম পরিস্থিতি বজায় রাখতে পাকিস্তান বদ্ধ পরিকর। তবে সম্প্রতি দেশটি থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর কাবুলের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ।
Advertisement
আফগানিস্তানের স্পিকার মীর রহমান রহমানীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী। মঙ্গলবার ইসলামাবাদে তাদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে কোরেশী বলেন, আফগানিস্তানে কোন সামরিক সমাধান নেই। রাজনৈতিক সমঝোতাই সেখানকার একমাত্র সমাধান।
এদিকে ইসলামাবাদে দুই নেতার বৈঠকের দিনও বোমা হামলা হয়েছে কাবুলে। আলাদা স্থানে তিনটি বোমা হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। আহত হয়েছে আরও ১২ জন। আফগানিস্তানের হাজারা জাতিগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে এমন অঞ্চলকে লক্ষ্য করে হামলাগুলো চালানো হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত এ হামলায় দায় স্বীকার করেনি কেউ। এরআগে দেশটির শিয়া মতাবলম্বীদের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল আইএসআইএল। আফগানিস্তানে ৩৬ মিলিয়ান জনসংখ্যার মধ্যে ২০ শতাংশ শিয়া জনগোষ্ঠী।
এরআগে কাবুলে বেশ কিছু হামলায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে জানিয়েছে আইএসআইএল। গত আট মে কাবুলে একটি গাড়ি বোমা হামলায় ৯০ জন নিহত হয়। এঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছিল আইএসআইএল।
Advertisement
চলতি বছরের ১ মে থেকে আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে দেশটির। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর থেকেই নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে আফগানিস্তানে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় আফগানিস্তানে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া, তিন হাজারের বেশি আফগানকে যুক্তরাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে লন্ডন।
সূত্র: ডন
এএমকে/জেআইএম
Advertisement