দুধ আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচিত। প্রতিদিন একগ্লাস দুধ খেলে শরীর সুস্থ থাকে। দুধে আছে একাধিক পুষ্টি উপাদান। নিয়মিত দুধ খেলে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমে। এমনকি দুধ খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে। জানেন কি, দুধ শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
Advertisement
অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে দুধ ও দুধের তৈরি খাবার খেতে ভয় পান। কারণ দুধে থাকে ল্যাকটোজ। যা চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট হিসেবে শরীরে জমা হয়।
এজন্য যারা কম ক্যালোরির খাবার খেয়ে ওজন কমাতে চান; তারা দুধ পরিহার করেন। তবে জানেন কি আপনার ডায়েটে দুধ রাখলে বরং আরও দ্রুত ওজন কমবে। জেনে নিন প্রতিদিনের ডায়েটে দুধ রাখলে ওজন কমার পাশাপাশি শরীর আরও যেসব উপকারিতা পাবে-
ক্ষুধা কমে
Advertisement
টোস্ট এবং দুটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে সকালের নাস্তা সেরে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন। এটি পরিপূর্ণ একটি সকালের নাস্তা হিসেবে বিবেচিত। কারণ এখানে কার্বস, খনিজ এবং প্রোটিন আছে।
এ ছাড়াও সকালের নাস্তায় আপনি কর্ন ফ্লেক্স এবং ওটসের সঙ্গে দুধ মিশিয়েও খেতে পারেন। এটি সারাদিন আপনাকে আর্দ্র রাখবে এবং ক্ষুধাও কম লাগবে।
আর্দ্র রাখে
নিয়মিত এক গ্লাস দুধ পান করলে শরীর পানিশূন্যতা থেকে বাঁচে। সোডা, এনার্জি ড্রিংকস বা স্বাদযুক্ত পানীয়গুলো শুধুই আপনার শরীরের ক্ষতি করবে। অন্যদিকে এক গ্লাস দুধে থাকে সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম। যা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে।
Advertisement
বিপাকক্রিয়া বাড়ায়
দুধে ফ্যাট, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের মিশ্রণ আছে। যা আপনার বিপাকক্রিয়া উন্নত করে। এটি সারাদিন শক্তি সরবরাহ করে এবং আপনার বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে তোলে। যা আপনার ওজন দ্রুত কমায়।
পেশীশক্তি বাড়ায়
হাড় এবং পেশী শক্তিশালী রাখে দুধ। এ কারণে শরীরচর্চার পরে এক গ্লাস দুধ পান করলে, এনার্জি আরও বাড়বে। শরীরচর্চার পর দেহের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ টিস্যু মেরামত করতে সহায়তা করে।
দুধের ফ্যাট খারাপ না!
দুধে ভালো ফ্যাট থাকে, যা শরীরের জন্য উপকারী। দুধে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম আছে। যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। দুধ খেলে সর্দি, অ্যালার্জি, রক্তচাপ ইত্যাদি সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন।
কীভাবে আপনার ডায়েটে দুধ অন্তর্ভুক্ত করবেন?
ওজন কমাতে হলে প্রথমেই ক্যালোরি মেপে খাবার তালিকা প্রস্তুত করুন। এক কাপ দুধে ১৫০ ক্যালোরি থাকে। অন্যদিকে এক কাপ লো ফ্যাট দুধে ৮৩ ক্যালোরি থাকে। তাই ওজন কমাতে হলে চাইলে লো ফ্যাট দুধ ও খেতে পারেন।
তবে দুগ্ধজাতীয় বিভিন্ন মিষ্টান্ন খাবার এড়িয়ে চলুন। এ ছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ফ্লেভারের প্যাকেটজাত দুধ থাকে। এগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ক্যালোরি থাকে। ওজন কমাতে চাইলে এসব খাবার খাওয়া উচিত নয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস