দেশজুড়ে

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতার রগ কর্তন, জামায়াত অফিসে আগুন

কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল সড়ক এলাকায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করে পায়ের রগ ও নাক কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সড়কের জাহাঙ্গীর মেস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতের নাম রাজিবুল ইসলাম মোস্তাক (২৩)। তিনি চকরিয়া উপজেলার দক্ষিণ কাকারা এলাকার নজির আহমদের ছেলে ও কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র।তাকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় পরে আশঙ্কাকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়ছে বলে অভিযোগ করেছেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ওয়াদিুর রহমান রুবেল।এ ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল রোডের জেলা জামায়াত ও শিবির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্দ নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়। রাতে মিছিল করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শহর বাজারঘাটাস্থ ইসলামী ব্যাংকের ওয়াল গ্লাসে ভাঙচুর চালায়। হামলা করা হয়েছে জামায়াতের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ইউনিকক্স প্রেসেও।এদিকে অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে শহরের বাজারঘাটা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করে তারা। হঠাৎ এমন পরিস্থিতি দেখে যানবাহন ও পথচারীরা দিকবিদিক ছুটতে থাকেন। তবে কিছুক্ষণ পরই পুলিশ আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ নেতার রগ কর্তনের প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে জেলা ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী অংশ নেন।কক্সবাজার কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান রুবেল জাগো নিউজকে বলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সড়কে একা পেয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল ইসলাম মোস্তাকের পায়ের রগ কেটে দেয় শিবির ক্যাডাররা।কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসক এসবি শর্মা বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাজিবের মাথায়, নাকে মারাত্মক জখম হয়েছে। তার পায়ের একটি রগ সামান্যের জন্য বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। এখনো তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।এ বিষয়ে জামায়াত নেতাদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’ পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফেরদৌস চৌধুরীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আহত রাজিবকে হাসপাতালে দেখতে যান।কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ অবস্থান করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃংখলা বাহিনী সজাগ থাকবে।সায়ীদ আলমগীর/এসকেডি/বিএ

Advertisement