গাজীপুরের কৌলটিয়ায় ভার্গো সিগারেট ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা। এতে অবৈধ ব্যান্ডরোলসহ বিপুল পরিমাণ সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৩১ মে) নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
Advertisement
তিনি জানান, অভিযোগ রয়েছে- এই সিগারেট ফ্যাক্টরিটি দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে। ভ্যাট আইন অনুযায়ী লো ব্রান্ডের সিগারেটের বিক্রয় মূল্যের ওপর ৭৩ শতাংশ ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য।
ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর এই অভিযান পরিচালনা করে। গতকাল রাতে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান ড. মইনুল খান।
সংস্থার উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে প্রাথমিকভাবে হিসাব করে অবৈধ সিগারেট পাওয়া যায় এক লাখ ৯৯ হাজার শলাকা।
Advertisement
অন্যদিকে, ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গণে জাল সন্দেহে দুই কার্টন ব্যান্ডরোল পাওয়া যায়। এতে গণনা করে এক লাখ ৫৬ হাজার পিস ব্যান্ডরোল পাওয়া যায়। একই সঙ্গে ফ্যাক্টরির গোপন কক্ষ থেকে আরও দুই কার্টন উদ্ধার করা হয়। এই দুই কার্টনে পুরোনো এবং ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার করা এই জাল ও অবৈধ ব্যান্ডরোল উৎপাদিত সিগারেটে ব্যবহার করে বাজারজাতকরণ করা হতো।
এই ভার্গো সিগারেট ফ্যাক্টরিটি গাজীপুর সদরের কৌলটিয়া এলাকায় অবস্থিত। ফ্যাক্টরির প্রধান প্রধান ব্র্যান্ড হলো- পার্টনার, দেশ গোল্ড ও দেশ ব্ল্যাক।
জব্দ হওয়া সিগারেটের মধ্যে ৫৬ হাজার শলাকা পার্টনার ব্র্যান্ডের, ৮৩ হাজার শলাকা দেশ গোল্ডের এবং ৬০ হাজার শলাকা দেশ ব্ল্যাক ব্র্যান্ডের। এসব লো ব্র্যান্ডের সিগারেট সিলেট, বরিশাল ও কুমিল্লার প্রত্যন্ত এলাকায় বাজারজাত করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটি ভার্গো টোব্যাকো লিমিটেড নামে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে এবং এটি ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটের আওতায় ভ্যাট প্রদান করে আসছিল। এর ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর- ০০০৩৭৯২৬৮০১০৩।
Advertisement
ভ্যাট আইন ভঙ্গের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানান ড. মইনুল খান।
এই তদন্তের অংশ হিসেবে বারিধারা ডিওএইচএস এলাকার বাসা: ১৭৬ ও ১৭৮, রোড: ২-এ ভ্যাট গোয়েন্দার আরেকটি দল আজ সকালে অভিযান করে। এই বাসাটি সিগারেট ফ্যাক্টরির হেড অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়। অভিযানে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে ভার্গো সিগারেট ফ্যাক্টরির তিনটি ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এই তিনটি ব্যাংক হলো- ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত সম্পন্ন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এমএএস/এআরএ/জিকেএস