ঝালকাঠির রাজাপুরে মুজিববর্ষের উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণকালেই ১১টি ঘরের অবকাঠামো ভেঙে গেছে। উপজেলার গালুয়াদুর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যাদের জমি নেই ঘরও নেই তাদের জন্য মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় উপজেলায় ৩৩৩টি পরিবারকে এ সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণের ব্যয় রাখা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
ইতোমধ্যে ১১৫টি গৃহ নির্মাণ শেষে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সরাসরি নির্মাণ কাজের তদারকি করে।
উপজেলার গালুয়া দুর্গাপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পোনা নদীর পাড়ে নিচু জমি স্বাভাবিক জোয়ারেই পানিতে ডুবে যায়। এই নিচু জায়গা আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র এ তিন মাস পানিতে ডুবে থাকে। পূর্ণিমার জোয়ারের স্রোতে নির্মাণাধীন স্থানে পানি উঠে এবং ঘরের ফাউন্ডেশন না থাকায় নিচের বালু পানিতে ভেসে গিয়ে ১১টি ঘরের বারান্দার বিভন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে।
Advertisement
নামমাত্র বালু ভরাট করে সাথে সাথে নির্মাণ কাজ করায় এমনটি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এছাড়াও বড়ইয়ার চল্লিশ কাহনিয়ায় একটি ঘরের অংশিক ভেঙে গিয়েছিল যা মেরামত করা হয়েছে। পানি উঠেছে অন্যগুলোতেও।
স্থানীয় বাসিন্দা মিয়া আবদুল খলিল জানান, নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্প এলাকায় আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র, এই তিন মাস জলাবদ্ধতা থাকে। আবার জোয়ারের পানিও সর্বত্র ভরে যায়। এই ঘরগুলো যারা বরাদ্দ পাবেন, তাদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
অপরদিকে যাদের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে তারা জানান, জমি নিচু হওয়ায় সামান্য জোয়ারেই ঘরে পানি উঠে। আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র, এ তিন মাস এখানে কিভাবে থাকব এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোক্তার হোসেন জানান, আবাসন প্রকল্প এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি উঠেছে। পরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যে ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা মেরামত করে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে।
Advertisement
আতিক/এমএইচআর