প্রসব বেদনা শুরু হলে মুক্তা বেগম নামের এক গৃহবধূকে নেয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির আগেই জরুরি বিভাগের ফটকের পাশে তিনি ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। এ সময় জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের বার বার ডাকা হলেও এগিয়ে আসেননি কেউ।
Advertisement
শনিবার (২৯ মে) রাত সোয়া ৯ টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
মুক্তা বেগম বানারীপাড়ার পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শান্ত ইসলামের স্ত্রী। সন্তানসম্ভবা হওয়ায় বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠিতে তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
শান্ত ইসলাম বলেন, সন্তানসম্ভবা দেখে তার স্ত্রী মুক্তা বেগম কয়েক দিন আগে উজিরপুর উপজেলার হারতা থেকে তার বাবার বাড়ি সৈয়দকাঠিতে এসেছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় প্রসব বেদনা ওঠলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বাড়ি থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দূরে হওয়ায় সেখানে পৌঁছাতে তাদের রাত হয়ে যায়। তাকে নিয়ে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটক পেরিয়ে জরুরি বিভাগ সংলগ্ন স্থানে তার প্রসববেদনা তীব্র হয়ে ওঠে। সেখানে বসে পড়লে পলিথিন দিয়ে আড়াল করে উপস্থিত নারী স্বজনদের সহযোগিতায় তিনি ছেলে সন্তান প্রসব করেন।
Advertisement
তিনি অভিযোগ করেন, স্ত্রী মুক্তা বেগমের প্রসবের সময় কয়েকবার জরুরি বিভাগে গিয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের সহায়তার জন্য ডেকেছেন। তারা কেউ এগিয়ে আসেননি।
সন্তান প্রসবের পর তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে ফিরে এসেছেন। মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।
বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. গোপাল শীল বলেন, শনিবার রাতে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন ডা. হাফিজুর রহমান শাকিল। তার সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, জরুরি বিভাগে প্রবেশের আগেই স্বাভাবিকভাবে ওই প্রসূতি সন্তান প্রসব করেছেন। তাই তাকে সেবা দেয়ার সুযোগ তারা পাননি।
সাইফ আমীন/আরএইচ/জেআইএম
Advertisement