জাতীয়

উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষার প্রচলন হওয়া উচিত

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বলেছেন, উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষার প্রচলন করা উচিত। আমিও বাংলা ভাষায় রায় লেখার চিন্তা করছি। ইতোমধ্যে নিম্ন আদালতের বিচারকরা বাংলায় রায় লিখছেন, উচ্চ আদালতের কিছু বিচাপতিরা বাংলা ভাষায় রায় লেখার চেষ্টা করছেন, আমি চিন্তা করছি দু-একটি রায় বাংলায় লিখবো।বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিমকোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে দেশীয় সাংস্কৃতিক আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত মাতৃভাষা ও দেশীয় সংস্কৃতি শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরাই একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছি, ৫২ ভাষা আন্দোলন যে প্রেরণা দেয় তা অবশ্যাই গুরুত্বপূর্ণ। আব্দুল গাফফার ও আব্দুল আলীমের আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটি, মুক্তিকামী মানুষদের অনেক উৎসাহ যুগিয়েছে।প্রধান বিচারপতি বলেন, মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের নিমিত্তে ৫২ আন্দোলন হয়েছে। ৫৯ গণঅভ্যূত্থান হয়েছে, স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম ফসল।  তিনি বলেন, সংস্কৃতির ধর্ম এগিয়ে চলা। সংস্কৃতি মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সংস্কৃতি হলো মানুষের জীবন প্রণালী মানুষের জ্ঞান ও কর্মের ভাবনার বাহক, এর বহু উদাহরণ জড়িয়ে আছে আমাদের নাটক কবিতা ও গানে। এসকে সিনহা বলেন, আফ্রিকার বৃহত্তর জাগরণ করেছিলো সংস্কৃতি দিয়ে। আফ্রিকার মানুষ সব হারালেও সংস্কৃতি হারায়নি। সেখানে মাদলের ধ্বনি তাদেকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। সংস্কৃতি মানষের অধিকার আদায়ে ভুমিকা রাখে। তিনি বলেন, আমাদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি ধরে রাখা উচিত, অপসংস্কৃতি দেশকে ধ্বংস করে। পশ্চিমা সংস্কৃতি কারণে আমরা ভুলে বসেছি দেশীয় সংস্কৃতি। দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষায় এই সংগঠন প্রশংসার দাবিদার। অনুষ্ঠানে সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় কার্যকর নিয়ে পাকিস্তান সম্প্রতি যে বিবৃতি প্রদান করেছে সেটি একটি বর্বর, জঙ্গিপনার মতো মনে হচ্ছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষা করতে হবে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ চন্দ্র কর। আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সেক্রেটারি লায়েকুজ্জামান মোল্লা, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম প্রমুখ।এফএইচ/এসকেডি/পিআর

Advertisement