করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দুই সপ্তাহের কড়া লকডাউনে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। চলমান মহামারি রোধে বিভিন্ন এসওপি এবং চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশ (এমসিও) পর্যায়ক্রমে এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেলেও কমছে না মৃত্যু ও সংক্রমণ।
Advertisement
গত এক সপ্তাহে প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দুই সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে দেশটি। ১ জুন মঙ্গলবার থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় দেশটির জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের বৈঠকে।
তবে এবারের লকডাউনে একেবারেই প্রয়োজনীয় কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশসহ ২৫ দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়া নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া, পেরু, কলম্বিয়া, সাউথ আফ্রিকা, মেক্সিকো, নেপাল, স্পেন, আর্জেন্টিনা, চিলি, ইরান, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ, সৌদি আরব, পাকিস্তান, ফ্রান্স, তুর্কি, ইতালি, জার্মানি, ইরাক, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা।
Advertisement
এছাড়া লকডাউনের মধ্যেই দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ বিদেশি অভিবাসীদের আটকে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জেআইএম জাতীয় নিবন্ধকরণ বিভাগ (এনআরডি) এবং পুলিশের সঙ্গে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অভিযানে গ্রেফতারদের জন্য অতিরিক্ত আটককেন্দ্র বরাদ্দ রাখতে ডিটেনশন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, আইনজীবী ফর লিবার্টির (এলএফএল) সমন্বয়কারী জায়েদ মালেক। জায়েদ মালেক এক বিবৃতিতে বলেছেন, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের টার্গেট করার অজুহাত হিসেবে লকডাউন ব্যবহারের ‘আন্ডারহ্যান্ডড কৌশল’ বিদ্যমান স্বাস্থ্য সঙ্কটকে আরও খারাপ করবে।
অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গণ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনার পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন জায়েদ মালেক।
এদিকে দুই সপ্তাহের কড়া লকডাউনে ৭০ হাজার আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা মোতায়েন থাকবে এবং দেশজুড়ে আট শ’-এর অধিক সড়ক অবরোধ স্থাপন করা হবে, যা ইতোমধ্যে ছয় শ’ স্থাপন রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের সতর্কতার সাথে চলাফেরা করার অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন প্রবাসীরা।
Advertisement
এদিকে রোববার (৩০ মে) দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৯৯ জন। এ নিয়ে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫৩৩ জন। করোনায় প্রাণহানি হয়েছে ৭৯ জনের। এ পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ হাজার ৭২৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৭ জন।
এমআরএম/জেআইএম