নেত্রকোনার পূর্বধলায় লাক মিয়া নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে তার বড় ভাই তারা মিয়া (২৩) ও ভাবি রুমা আক্তারকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার জেরেই এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
Advertisement
রোববার (৩০ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম।
ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার জেরে ছোট ছেলে লাক মিয়া খুন হয়েছেন এমন অভিযোগ এনে শনিবার (২৯ মে) বিকেলে বড় ছেলে তাঁরা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তারকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের বাবা আবু সিদ্দিক ফকির।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চার-পাঁচ মাস যাবত তার বড় ছেলের বউ রুমা আক্তারের সঙ্গে ছোট ছেলে লাক মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তার বড় ছেলে তারা মিয়া ও রুমা আক্তার লাক মিয়াকে খুনের পরিকল্পনা করে। গত দুদিন আগে আবু সিদ্দিক ও তার স্ত্রী আছমা খাতুন ঢাকায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে বড় ছেলে ও তার স্ত্রী রুমা আক্তার ছোট ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
Advertisement
হত্যার পর আবু সিদ্দিক ফকিরকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়, লাক মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে নিহত ছেলের থুতনিতে ও বুকে দাগ দেখতে পান। আবু সিদ্দিক ফকিরের ধারণা তার লাক মিয়াকে বড় ছেলে ও তার স্ত্রীসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যা ঘটিয়েছে।
পূর্বধলার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু এমন খবরে শুক্রবার (২৮ মে) বিকেলে স্থানীয়রা ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই যুবকের মরদেহটি দাফন করতে চায়। মৃত্যু রহস্যজনক মনে হওয়ায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের বড় ভাই ও ভাবিকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে বেরিয়ে আসে খুনের রহস্য।
মামলা দায়েরের পরপরই সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এইচ এম কামাল/এসজে/এমকেএইচ
Advertisement