ভারতে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। দেশটিতে ইতোমধ্যেই এই ভাইরাসে তিন লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছে বহু পরিবার। এমন অনেক পরিবার আছে যারা তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম প্রিয়জনকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের সহায়তার কথা জানিয়েছে সরকার। করোনায় অনাথ শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্ব নেয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত মাসিক সাহায্যের পাশাপাশি ২৩ বছর বয়সে তাদের ১০ লাখ টাকা দেয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি করোনায় মারা গেছে তাদের পরিবারকেও সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারকে পেনশন দেবে কেন্দ্র। পাশাপাশি তাদের জন্য বিমারও ব্যবস্থা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, করোনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের আর্থিক সাহায্য করা হবে।
Advertisement
করোনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবার যেন সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকতে পারে সেজন্য তাদের পরিবারকে পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছে সরকার।
২০২০ সালের ৩ মার্চের পর থেকে যারা মারা গেছেন তারা পেনশনের সুবিধে পাবেন। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ ওই সুবিধা দেয়া হবে। বিমার মূল্য ৬ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লাখ টাকা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরে সংক্রমণ কিছুটা কমতে শুরু করলেও মৃত্যু সেভাবে কমছে না। টানা তিনদিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ ২লাখের নিচে নেমে এলেও প্রায় প্রতিদিনই তিন হাজারের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারাচ্ছে।
ছয় সপ্তাহ পর সবচেয়ে কম দৈনিক সংক্রমণ দেখল ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৩ জন। গত শনিবার এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯০। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৪ হাজার ৮শ।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৪৬০ জন। ফলে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৭২ জন। তবে সুস্থতার হারও বাড়ছে ফলে স্বস্তি মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩০৯ জন। দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩২০ জন। সুস্থতার হার এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
টিটিএন/এমএস