সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে করোনা আক্রান্তের হার দিন দিন বেড়েই চলছে। এতে মানুষের মধ্যে বেড়েছে আতঙ্ক। এদিকে ভারতফেরত ১২৫ জনের মধ্যে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তারা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি-না তা জানতে ঢাকায় নমুনা পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া ভারতফেরত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে ভারত থেকে যেসব পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে তাদের চালক ও সহকারীদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। এতে ভাতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে শনিবার (২৯ মে) দিনাজপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
জানা যায়, দিনাজপুর জেলার সাতটি উপজেলা সীমান্ত সংলগ্ন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে হিলি বন্দর দিয়ে দেশে আসছেন ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি যাত্রীরা।
শনিবার পর্যন্ত করোনা নেগেটিভ সনদ ও এনওসি নিয়ে ১২৫ জন দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে তিনজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তারা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি-না তা জানতে গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
ভারতফেরত যাত্রীদের হামিপুর, ঘোড়াঘাট, বিরামপুর ও ফুলবাড়ীতে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে আরও ৯ জন ভারতে আটকে পড়া যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
Advertisement
হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, দেশের বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় যেসব পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপাররা আসছেন, তাদের কোনো করোনা নেগেটিভ সনদ দেখানোর বা টেস্ট করার ব্যবস্থা নেই। এতে আমরা শঙ্কিত।
এদিকে দিনাজপুরে গত সাতদিনে করোনা আক্রান্তের হার বাড়তে শুরু করেছে। গত ছয়দিনে ১২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন জানান, ভারত থেকে গত শনিবার পর্যন্ত ১২৫ যাত্রী হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া অসুস্থ অবস্থায় আসা ২০ রোগীকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এমদাদুল হক মিলন/এসএমএম/জিকেএস