কানাডায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গতবছর মার্চ মাসে সর্বপ্রথম দেশটির ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন ২৫ হাজার ছাড়াল।
Advertisement
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৭৩৪, মারা গেছেন ২৫ হাজার ৪৭৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৮ জন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে খ্যাত কানাডায় রয়েছে ১০টি প্রদেশ ও তিনটি টেরিটরি। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতদের ৯০ ভাগের বেশিই রয়েছে প্রধান চারটি প্রদেশ কুইবেক, অন্টারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় ও আলবার্টা প্রদেশে।
এখন পর্যন্ত কানাডায় দুই কোটি ২৩ লাখ টিকা মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। দেশটির ৫৪ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে। কুইবেকের ৫৬ শতাংশ মানুষ এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
Advertisement
২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যেন টিকার কোনো ঘাটতি না থাকে সে জন্য কয়েক কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করেছে কানাডা সরকার। চুক্তি হয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি শেষে কয়েক কোটি ডোজ টিকা সুরক্ষিত রাখার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
কানাডার চিফ পাবলিক হেলথ অফিসার ডা. থেরেসা ট্যাম বলেন, কানাডায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ কমে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে এবং নতুন সংক্রমণ কমতে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনার প্রকোপ কমে আসার কারণে ২৮ মে থেকে মন্ট্রিয়লসহ কুইবেকের অন্যানা শহরে রাত্রিকালীন কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে। খোলা হচ্ছে রেস্তোরাঁ। মুভি থিয়েটার ও স্টেডিয়ামও খুলে দেয়া হবে শর্তসাপেক্ষে। দুই পরিবারের আটজন সদস্য নিয়ে ব্যাকইয়ার্ডে পার্টি করা যাবে।
আগামী ৩১ মে রেস্তোরাঁর ডাইনিং, জিম খুলে দেয়া হবে কিছু বিধান জারি রেখে। এদিন থেকে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক ক্লাস শুরু হবে।
Advertisement
বিএ/এমএস