খেলাধুলা

এবার ৪০ দলের বিশ্বকাপ, ম্যাচ বাড়ছে ৩২টি

দারুন এক চমক নিয়ে ফুটবল সমর্থকদের সামনে হাজির হয়েছে ফিফা। ২০২৬ সাল থেকে ফিফা বিশ্বকাপ হবে ৪০ দলের। ফলে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে যাবে আরও ৩২টি। সুতরাং বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য যে আরও বাড়ছে তা তো অবশ্যম্ভাবী। ৩০ দিন থেকে বিশ্বকাপের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাবে আরও এক সপ্তাহ। বৃহস্পতিবার ফিফার কার্যনিবাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপরই ঘোষণা করা হয়, ২০২৬ সাল থেকে পরিবর্তিথ বিশ্বকাপ সূচি এবং ফরম্যাটের কথা। ফিফার কার্যনির্বহী কমিটিতে প্রস্তাবনাটি পাশও হয়ে গেছে। দল, দিন এবং ম্যাচের সংখ্যা বাড়লেও একটি ফরম্যাট কিন্তু আগের মতই থাকছে। টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে ৮ গ্রুপ নিয়েই। এখন প্রতিটি গ্রুপে খেলে চারটি করে দল। ২০২৬ সাল থেকে গ্রুপের দল সংখ্যা হবে ৮টি করে। ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের ওপর বাড়তি একটা চাপ যে পড়ছে, এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ নির্ধারণ করা হবে ২০১৯ সালে। আবার ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজকও প্রথমবারেরমত নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। ফিফার ২০৯টি সদস্য দেশের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্ধারণ করা হবে ২০২২ সালের পরবর্তী সব বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। ফিফা সংস্কারের জন্য নির্ধারিত এজেন্ডা নিয়েই জুরিখে মিলিত হয়েছিল কার্যনির্বাহী কমিটি। যেখানে বর্ধিত বিশ্বকাপের কোন এজেন্ডাই ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই সেখানে নিয়ে আসা হয় বিষয়টি এবং চমকে দেয়ার মতই কার্যনির্বাহী কমিটি ৪০ দলের বিশ্বকাপের বিষয়টি অনুমোদন দিয়ে দিল। মূলতঃ ৪০ দলের বিশ্বকাপের ধারণাটি এসেছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনির মাথা থেকে, ২০১৩ সালে। মিশেল প্লাতিনি ফিফার কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ধারণাটি আবারও ফিফার কার্যনির্বাহী কমিটিতে উপস্থাপন করেন উয়েফার সেক্রেটারি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। যিনি আবার ফিফার সংস্কার কমিটির সদস্যও বটে। ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইনফান্তিনো অন্যতম প্রার্থীও বটে।তবে ২০২৬ সাল থেকে অতিরিক্ত ৮ দল কিভাবে নির্বাচন করা হবে সে বিষয়টা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ২০১৩ সালে মিশেল প্লাতিনি মূলতঃ বিশ্বকাপে প্রতিটি মহাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতেই এই প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। বিদ্যমান পদ্ধতিতে বিশ্বকাপের নির্ধারিত ৩২টি দল নির্বাচন করা হয়- আফ্রিকা থেকে ৫, এশিয়া থেকে ৪.৫, ইউরোপ থেকে ১৩, উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল থেকে ৩.৫, লাতিন আমেরিকা থেকে ৪.৫ এবং ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে ০.৫টি দল। বাকি দলটি বরাদ্ধ থাকে স্বাগতিক দেশের জন্য।১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু। প্রথম আসরে দল সংখ্যা ছিল ১৩টি। ১৯৩৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১৬টিতে, ১৯৩৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৫টি। ১৯৫০ সালে আবারও দল সংখ্যা কমে যায়। ছিল ১৩টি। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপে দল সংখ্যা ছিল ১৬টি। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত ছিল ২৪টি। ১৯৯৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত থাকবে ৩২টি। এরপর ২০২৬ সাল থেকে বিশ্বকাপের দলসংখ্যা হয়ে যাবে ৪০টি।আইএইচএস/পিআর

Advertisement