পৌরসভা নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই নিষেধজ্ঞার তোয়াক্কা করেননি ঢাকার ধামরাইয়ের এমপি আলহাজ্ব এম এ মালেক। মনোয়নপত্র জমাদানের শেষদিনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মনোয়নপত্র জমা দেয়ার কাজে অংশ নিয়েছেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে নির্বাচনী আইন অমান্য করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন শতাধিক নেতাকর্মী। মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার সকালে ধামরাই উপজেলা চত্বরে অবস্থিত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে শুরু করেন মেয়র ও কমিশনার প্রাথীরা। সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ও বিএনপি দলীয় মেয়রপ্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে চলে যাওয়ার পর উপজেলা চত্বরে বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রাথী আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লা। এসময় তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকুসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা উপজেলা চত্বরে সংসদ সদস্য মালেকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। দুপুর ২ টার দিকে আরো নেতাকর্মীসহ উপজেলা চত্বরে উপস্থিত হন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এম এ মালেক। পরে তিনি শতাধিক নেতাকর্মীসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় মেয়র প্রার্থী গোলাম কবির মোল্লার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় অংশ নেন তিনি। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশের পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম তাকে পাশের সিটে বসার অনুরোধ করেন। সেখানে বসে মেয়র প্রার্থী কবির মোল্লাকে মনোনয়ন প্রদানের অনুমতি দেন তিনি। পরে প্রার্থী কবির হোসেনের হাত থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম। মনোনয়নপত্র জমা দেয়া শেষে সাংসদ এম এ মালেক রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ত্যাগ করার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এসময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তোমরা আমার ছবি দিয়ে নিউজ করবে না’। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আমি তো কাজে ব্যস্ত ছিলাম। গোলাম কবির মোল্লার সঙ্গে কখন এমপি আসছেন, আমি সেটি খেয়াল করিনি। আর উনি তো প্রচারণা চালাতে আসেননি। একজন মানুষ হিসেবে প্রার্থীর সঙ্গে এসেছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ধামরাই সহকারী উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্য স্যার আসলে এখানে নির্বাচনী প্রার্থীর সঙ্গে আসছেন কি না জানি না। তবে একজন সংসদ সদস্য হিসেবে উনি যখন আসেন তখন আমরা তার নিরাপত্তা দিয়েছি। আল-মামুন/এসকেডি/এসএইচএস/পিআর
Advertisement