প্রবাস

দেশে ভ্যাকসিন না নিলে কুয়েত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে কুয়েত সরকার। দেশটিতে অবস্থানরত সকল জনগণের সুরক্ষায় বিভিন্ন সময় যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দেশে করোনা ভ্যাকসিন না নিলে কুয়েত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশে ছুটিতে গিয়ে যেসব প্রবাসী এখনো ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি তাদের কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর এই ভ্যাকসিন অবশ্যই কুয়েত সরকারের অনুমোদনকৃত হতে হবে। এমন সংবাদে অনেক প্রবাসী কুয়েত ফিরতে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।

কুয়েত সরকারের অনুমোদিত ভ্যাকসিগুলো হলো- ফাইজার, অক্সফোর্ড, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মোদার্না। কুয়েতে বিনামূল্যে দুই মিলিয়ন লোক ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। যারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন না তাদের ইকামা নবায়ন করা হবে না। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এমন সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

দ্রুত ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে কুয়েত প্রবাসীরা। দেশে আটকেপড়া প্রবাসীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দিয়ে তাদের কর্মস্থলে ফিরতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান তারা।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ১১ হাজার ৬৪৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৮ জন।

এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ লাখ ২৪ হাজার ৫০৭ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ কোটি ৯৬ লাখ ১৬ হাজার ৭১৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ কোটি ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬২২ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭ হাজার ৭২৬ জনের।

Advertisement

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৭৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭০৫ জন এবং এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৮২১ জনের।

আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ১৬২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৩ জনের।

এমআরএম/এএসএম