জাতীয়

বিপৎসীমার নিচে নেমেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদীর পানি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে গত বুধবার (২৬ মে) দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যেসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। বৃহস্পতিবারের (২৭ মে) মধ্যেই ওইসব নদ-নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

Advertisement

শুক্রবার (২৮ মে) উপকূলীয় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পানি নেমে গেছে এবং দেশের কোথাও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। ফলে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তা কেটে গেছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যেসব নদনদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল, সেগুলোর পরিস্থিতি বৃহস্পতিবারই ঠিক হয়ে গেছে। ওইসব অঞ্চল থেকে পানি নেমে গেছে। এখান ওখানে তেমন কোনো খারাপ পরিস্থিতি নেই। এই মুহূর্তের দেশের কোথাও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিতও হচ্ছে না।’

Advertisement

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২৬ মে) সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলার ভদ্রা, ইছামতি, রূপসা-পশুর, শিবসা, দড়াটানা, বেতানাই-খোলপেটু, কীর্তনখোলা, তেতুলিয়া, স্বরূপকাঠি, কচা, বুড়িশ্বর, বিশখালী, সুরমা-মেঘনা ও বুড়িশ্বর-পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার সাড়ে ৩ ফুট থেকে সাড়ে ৬ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এর ফলে এসব নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।

এদিকে, আজ দেশের নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। যমুনা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

পানি স্টেশনগুলোর মধ্যে ৪৮টি স্টেশনে পানি বাড়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আর ৪৮টি স্টেশনে কমার এবং ৪টি স্টেশনে অপরিবর্তিত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে পূর্বাভাস প্রদানকারী এই কেন্দ্রটি।

পিডি/এএএইচ/এএসএম

Advertisement