মেহেদী হাসান মিরাজই প্রকৃত অবস্থাটার কথা তুলে ধরলেন। এখন যেহেতু পয়েন্টের, সুতরাং আয়েশের সুযোগ নেই। তামিম ইকবাল জানিয়ে দিয়েছিলেন, সিরিজ জিতলেও এখনও অনেক কাজ বাকি।
Advertisement
সিরিজটি যেহেতু আাইসিসি ওয়ার্ল্ড সুপার লিগের। যেখান থেকে বাছাই হবে আগামী বিশ্বকাপের দল, সে কারণে সিরিজ জয়ের পর রিলাক্সের কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের পর এখন তাদেরকে প্রথমবারের মত হোয়াইটওয়াশ করার বিরল সুযোগ এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সামনে।
আজ দুপুর ১টায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচের খেলা। এই ম্যাচ জয়ের আগেই ওয়ানডে সুপার লিগে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচেও যদি পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করতে পারে টাইগাররা, তাহলে নিশ্চিত অনেকদুর এগিয়ে থাকবে তামিম ইকবালের দল।
গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জয়ের পর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশ টানা ১০টি ম্যাচে হেরেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ঘরের মাঠে ২ টেস্ট, নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি এবং শ্রীলঙ্কার মাটিতে গিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হেরে এসেছে টাইগাররা।
Advertisement
সেই ১০ পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙেছে আবার ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে পেয়ে। প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানে, দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছে ১০৩ রানে। টানা দুই ম্যাচ জেতার পর এবার তৃতীয় ম্যাচ জয়ের দারুণ সুযোগ সামনে। তামিম ইকবাল অ্যান্ড কোং সেই সুযোগটা তো কোনোভাবেই হারাতে চায় না।
দুই ম্যাচ জিতলেও নিজেদের বেশ কিছু জায়গায় এখনও বেশ ঘাটতি রয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কা বলে হয়তো এসব সমস্যা সত্ত্বেও পার পেয়ে গেছে টাইগাররা; কিন্তু বছরের শেষ অংশে যে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে টাইগারদের সামনে? সেই চ্যালেঞ্জ জয়ের জন্য এখনও নিজেদের পরখ করার অনেক কিছু বাকি আছে।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা সম্ভবত রয়েছে সবচেয়ে দুঃসময়ে। বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তাদের সাবেক অধিনায়ক সনৎ জয়সুরিয়া। শেষ ম্যাচে অন্তত ‘লজ্জা’ ঢাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। লঙ্কানরাও মরিয়া শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচতে।
লঙ্কানদের বড় সমস্যা তাদের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে রান নেই। ওয়ানিদু হাসারাঙ্গাই কেবল সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮০ রান। এর মধ্যে একটি হাফ সেঞ্চুরি। তাও তার এই সর্বাধিক রান এসেছে ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে টপ অর্ডার, মিডল অর্ডার এমনকি লেট মিডল অর্ডারও পুরোপুরি ব্যর্থ।
Advertisement
লঙ্কান কোচ মিকি আর্থার খুঁজেই পাচ্ছেন না কেন তার দলের ব্যাটসম্যানরা স্পিন খেলতে পারছেন না। দলের দায়িত্বশীল ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস, দানুসকা গুনাথিলাকা এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভারাই কিন্তু যথেষ্ট ব্যাটিংয়ে উন্নতি ঘটাতে।
এছাড়া পাথুম নিশাঙ্কা, দাসুন সানাকা, আশেনা বান্দারারা হয়তো নতুন, কিন্তু তারাও স্পিন সামলাতে বেশ সিদ্ধহস্ত। তবুও কেন বাংলাদেশের মাটিতে স্পিন খেলতে গিয়ে তাদের এত বাজে অবস্থা, তা কোনোভাবেই খুঁজে পাচ্ছেন না মিকি আর্থার।
সুতরাং, জবাব খুঁজছে লঙ্কানরাও। শেষ ম্যাচে যদি সেই জবাব পেয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশ করার যে স্বপ্ন, তাতে বাধ সাধতে পারে সেটা। সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে মরিয়া লঙ্কানদের সামনে আজ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। লড়াইটাও হবে বেশ জম্পেস।
আইএইচএস/