মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত অভিজাত সুপারশপ হোলসেল ক্লাবকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মো. সজীবের নেতৃত্বে হোলসেল ক্লাব লিমিটেডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে প্রতিষ্ঠানটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। অনেক পণ্যে আমদানিকারকের কোনো স্টিকার পাওয়া যায়নি। পচনশীল খাদ্যদ্রব্য যে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার কথা তাতে ব্যাপক গড়মিল দেখা যায়। খেজুরের প্যাকেটে ঘষামাজা করে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কাঁচা মাছ ও মাংসের বক্সে দোকানে আনার কোনো তারিখ লেখা ছিল না। কিচেন অংশে খোলা ডাস্টবিন রাখা ছিল, সেখান থেকে ক্রস কন্টামিনেশনের সমূহ সম্ভাবনা ছিল।
এছাড়া, কাঁচা খাদ্য বিপণনে সংশ্লিষ্ট সেলসম্যানদের কারও স্বাস্থ্য সনদ ছিল না। রেস্টুরেন্ট পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসক প্রদত্ত নিবন্ধন ও লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। এছাড়া বেকারি আইটেম উৎপাদনের জন্য বিএসটিআইয়ের কোনো লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি। ত্রুটি পাওয়া যায় পোকামাকড় দমনেও।
Advertisement
এসব অপরাধে হোলসেল ক্লাব লিমিটেড সুপার শপ কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে তা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
এছাড়া, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য তাৎক্ষণিক নষ্ট করে দেয়া হয়। হোলসেল ক্লাব লি. সুপার শপ, সংযুক্ত বেকারি ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষণ ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়।
হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলার অঙ্গীকার করে। অভিযানে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. আব্দুল খালেক মজুমদার, মনিটরিং অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের একটি চৌকস দল উপস্থিত ছিল।
এনএইচ/এসএস/জিকেএস
Advertisement