মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া ও রায় বিষয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবাদ র্যালি করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতি। বৃহম্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের পাশ থেকে প্রতিবাদ র্যালি বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।প্রতিবাদ র্যালির আগে সিনেট ভবনের পাশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমিতির সভাপতি আনন্দ কুমার সাহা বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন দেশের বিচার প্রক্রিয়াা বা যেকোনো বিষয়ে মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার কারো নেই। পাকিস্থানের এই প্রতিক্রিয়া দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে।এ সময় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহা. রেজাউল করিম, রাবি ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন।সমাবেশ থেকে বক্তারা পাকিস্তানকে ভুল স্বীকার করে অবিলম্বে বাংলাদেশের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেকোনো রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা থেকে বিরত থাকতে বলেন।এ সময় সমাবেশে জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী-কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে একই প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনন্দ কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক মহা. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া ও রায় বিষয়ে পাকিস্তান যেভাবে অযাচিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে এবং পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করেছে তা রীতিমতো কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত, উদ্ধত্যপূর্ণ ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তান কোনো রকম মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেনি এ রকম মন্তব্য করে তারা নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশের দোসররা যেভাবে সীমাহীন হত্যাযজ্ঞ, নিপীড়ন, লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তা পুরো বিশ্ব ভালোভাবেই জানে এবং এ বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করা দুরভিসন্ধিমূলক।রাশেদ রিন্টু/এসএস/পিআর
Advertisement