দেশজুড়ে

মোংলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী জলোচ্ছ্বাস অব্যাহত

মোংলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তীতে জলোচ্ছ্বাস অব্যাহত থাকায় উপকূলের মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। ২৭ মে বৃহস্পতিবার দিনের বেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি ৬ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement

জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে তিন ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের সাড়ে ৬শো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার ও খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি এবং উপকূলবাসীর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে।

চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা মো. তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস এবং বর্ষা মৌসুমের ভরা জোয়ারে গ্রাম তলিয়ে যায়। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলে উপকূলীয় এলাকা জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পেতে পারে।

দক্ষিণ কাইনমারি গ্রামের কণিকা মন্ডল বলেন, জোয়ারের পানিতে সব জায়গায় লবণ পানি প্রবেশ করায় পানীয় জলের সংকটে পড়েছি। এছাড়া জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী অধিকাংশ বাড়িতে রান্না করার পরিবেশ নেই।

Advertisement

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর নেত্রী কমলা সরকার বলেন, সুন্দরবন এবং উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। এছাড়া সুন্দরবন এবং উপকূল অঞ্চল নিয়ে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনেরও দাবি জানান তিনি।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও তার প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, মোংলা উপজেলার তিন ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের সাড়ে ৬শো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬৮৫টি চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। চিংড়ি ঘেরের ক্ষতির পরিমাণ হবে আনুমানিক ২০ লাখ টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার ও খিচুড়ি বিতরণ চলমান আছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে বৃহস্পতিবারও স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীর টেকসই বেড়ি বাঁধের দাবি লিখিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বৃহস্পতিবার জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার কমলেশ মজুমদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক মো. নূর আলম শেখ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এ আনোয়ার উল কুদ্দুস, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সবুজ বৈরাগী, চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মো. তারিকুল ইসলাম, বিএএসডি'র এডওয়ার্ড এলিও মধু প্রমুখ।

Advertisement

মো. এরশাদ হোসেন রনি/এমআরএম/জেআইএম