হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকসহ অর্ধশতাধিক নেতার সম্পদের খোঁজে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুদক সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এ তথ্য জানান।
Advertisement
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ অর্ধশত নেতার সম্পদের তথ্য চেয়ে ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে চিঠি দিয়েছে দুদক। এসব দফতর থেকে তথ্য পাওয়ার পর পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সম্পদের তথ্য চাওয়া হেফাজতে নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আহমদ আবদুল কাদের ও মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল হাবিব, মামুনুল হক, নাসির উদ্দিন মনির, জালাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মনির হোসাইন কাসেমীসহ আরও অনেকে।
হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, সংগঠনের তহবিল, বিভিন্ন মাদরাসা, এতিমখানা ও ইসলামি প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকা এবং ধর্মীয় কাজের জন্য আসা বিদেশি সহায়তা আত্মসাৎ করেছেন তারা।
Advertisement
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাবুনগরী, মামুনুল হকসহ হেফাজতের অর্ধশতাধিক নেতার বিরুদ্ধে সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের পরিচালক আকতার হোসেন আজাদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুদক।
জানা গেছে, দুদক হেফাজত ও তাদের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে। সংগঠনটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি টাকার লেনদেন, মানি লন্ডারিং ও নানা সম্পদের অনুসন্ধানের কথাও জানা গেছে।
এরই মধ্যে হেফাজতে ইসলামের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে ৩১৩ জনকে চিহ্নিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা আগমনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সহিংসতাসহ বিভিন্ন মামলায় গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর হেফাজতের একাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Advertisement
এসএম/এআরএ/জিকেএস