দেশজুড়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু

আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার একাংশ। জেলা ইজতেমা কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ফজর নামাজের পর তিতাস নদীর তীরবর্তী সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের শালগাঁও কালিসীমা গ্রামের চৌদ্দ মৌজা ঈদগাহ্ মাঠে এ ইজমেতা শুরু হয়। ইজমেতাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেন। প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনুষ্ঠিতব্য এ ইজতেমায় লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি, অজুখানা, টয়লেটসহ সবধরনের ব্যবস্থা করেছেন আয়োজকরা। এছাড়া তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমা সফল করতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, ইজতেমা সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা নিজেরাও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিক মুসল্লিদের খোঁজ-খবর রাখছেন।এদিকে ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশ এলাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এবিপিএন ও নৌপুলিশের প্রায় ছয় শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো ইজতেমা মাঠের চিত্র সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশ এলাকায় ৫০টি ক্লোজ সার্কিট (সি.সি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।আগামী শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তিনদিনব্যাপী এই বিশ্ব ইজতেমা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমজেড/এমএস

Advertisement