বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী জরুরি উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী তিনস্তরের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ১৮টি যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার। এছাড়া নৌবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত ত্রাণ ও জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার (২৬ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌবাহিনীর জাহাজ সমুদ্র অভিযান, সমুদ্র জয়, সাগর, স্বাধীনতা, প্রত্যয়, নির্মূল, শাপলা, নির্ভয়, অপরাজেয়, অদম্য, গোমতী, হাতিয়া, সন্দীপ, শাহ পরান, শাহ মকদুম, এলসিটি-১০৫, এলসিভিপি-০১১ ও এলসিভিপি-০১৩ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আবার নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার সমুদ্র এলাকায় উদ্ধার অভিযান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
Advertisement
দেশের উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মোতায়েন করা সবগুলো কনটিনজেন্ট জনস্বার্থে বিভিন্ন সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করছে। তাছাড়া বিপদসঙ্কুল এলাকা থেকে স্থানীয় জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও ভাসানচরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সেখানকার পূর্বনির্ধারিত ঘূর্ণিঝড় নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভাসানচরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী, লাইফ জ্যাকেট ও এক মাসের শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদর দফতর ও সব আঞ্চলিক কমান্ড সার্বক্ষণিক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে।
মিজানুর রহমান/এসএস/এমএস
Advertisement