‘ফ্রি ফায়ার’ ও ‘পাবজি’ গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ সমাজ। এই গেম দুটি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
Advertisement
বুধবার ( ২৬ মে) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশে তরুণ প্রজন্মের মাঝে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গেম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ব্লু হোয়েলের অনলাইন ভিডিও ২০১৭ সালে চালু হয়। এরপর থেকে এই গেমটি দ্রুত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অন্যদিকে চায়না প্রতিষ্ঠানের ২০১৯ সালে তৈরি করা যুদ্ধ গেম ‘ফ্রি ফায়ার’ একইভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এই গেম দুটি খেলার ফলে দিন দিন এর অপব্যবহারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফল কিশোর গ্যাং। এরা চরমভাবে বিপথগামী হয়ে উঠেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত বছর থেকে বিশেষ করে মহামারির ফলে স্কুল-কলেজ, ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। অন্যদিকে অনলাইনে ক্লাসের কারণে অভিভাবকরা সন্তানদের হাতে ল্যাপটপ, মোবাইল তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ সুযোগে এসবের বেশিরভাগ অপব্যবহার ঘটছে।
Advertisement
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে বলে, পাড়া-মহল্লায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রায়ই সহিংসতা লেগেই থাকে। আবার এর কিছু ব্যতিক্রম চিত্র রয়েছে। যেমন- এশিয়ান টেলিকম আজিয়াটা আঞ্চলিকভিত্তিক গেমিং প্রতিযোগিতা আহ্বান করে। সেই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের চার তরুণ ৯ হাজার ডলার আয় করে। অর্থাৎ অনলাইন গেমগুলোর সঠিক নির্দেশনা ও ভালো কাজে ব্যবহার করা যেত তবে তার মাধ্যমে অনেক আয় করা যেত। কিন্তু আমরা দেখছি এর অপব্যবহারের সংখ্যা প্রায় ৯৯ শতাংশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং নিয়ন্ত্রক কমিশনকে দ্রুততার সঙ্গে এই গেমগুলোর অপব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সরকারকে দ্রুত এই গেম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি। হঠাৎ করে এই গেম বন্ধ করে দিলে তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। আবার কেউ কেউ ভিপিএনের মাধ্যমেও এই গেম খেলতে পারে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সরকারকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এইচএস/জেডএইচ/এমএস
Advertisement