ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মোংলা ও আশপাশের উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
Advertisement
এতে পশুর নদীর বাঁধ সংলগ্ন কানাইনগর, চিলা ও জয়মনি এলাকার চারশতাধিক বসতঘর তলিয়ে গেছে। চিংড়িসহ অসংখ্য মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলের আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে কেউ আসেননি।
বুধবার (২৬ মে) দুপুর ২টার দিকে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যান মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার। তিনি বলেন, মোংলার উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে দুপুর ১২টা থেকে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এর ফলে পশুর নদী সংলগ্ন অনেক বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
মোংলা চাদপাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের খামখেয়ালীর কারণে জোয়ারের পানিতে বন্ধী হয়ে পড়েছে চিলা ও চাদপাই ইউনিয়নের তিন গ্রামের কয়েকশ বাসিন্দা, ভেসে গেছে কয়েক হাজার বিঘা মৎস্য ঘেরের মাছ।
Advertisement
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাঠকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ছিলাম। চিলার কেয়াবুনিয়া ও জয়মনি এলাকায় ৫০০-৬০০ বিঘা মৎস্য ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করছি।
মো. এরশাদ হোসেন রনি/আরএইচ/এমএস