দেশজুড়ে

পানিতে একাকার বাগদা-গলদার ঘের

২৫ বিঘার ঘের তলিয়ে গেছে। দেড় থেকে দুই ফুট ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে পানি। এই অবস্থায় ব্যয় হওয়া ছয় লাখ টাকার এক টাকাও ঘরে উঠবে কি-না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের বারুইখালি ইউনিয়নের ঘেরমালিক অলিউর রহমানের।

Advertisement

শুধু অলিউর রহমান নয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব আর হঠাৎ জোয়ারে বাগেরহাটে এমন সমস্যার মুখোমুখী এই উপজেলার বাগদা-গলদার চাষিরা।

করোনা মহামারি ছাপিয়ে মাছ বিক্রির আয়ে যারা দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন, তাদের প্রত্যেকের এখন মাথায় হাত। তারা বলছেন, বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের। এলাকার বাসিন্দা আকিব খান বলছিলেন, মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরের দিকে ওঠা জোয়ারের পানি নামার সুযোগ পায়নি। এরপর ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে পানি বাড়ছেই। মোড়েলগঞ্জ বাজারে প্রায় হাঁটু পর্যন্ত পান উঠে গেছে।

তারা জানান, জোয়ারের পানির সঙ্গে হালকা বৃষ্টি আছে। বাতাস তেমন নেই। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে জোয়ারের পানি। পানি আটকানোর কোনো চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোরেলগঞ্জের বারুইখালি ইউনিয়ন, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন, জিউদারা ইউনিয়ন, খাওলিয়া ইউনিয়নের বেশিরভাগ জায়গা তলিয়ে আছে পানিতে।

পানিতে তলিয়ে আছে মোড়েলগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোও। উপজেলার খুব অল্প জায়গা জলোচ্ছ্বাসের আওতার বইরে আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

শওকত আলী বাবু/সালমান শাকিল/এসআর/এমএস

Advertisement