ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জেরুজালেমে পুনরায় কনস্যুলেট জেনারেল চালুর মাধ্যমে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং সংঘাতপূর্ণ গাজার পুনর্নিমানে সহায়তার কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
Advertisement
পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কনস্যুলেট জেনারেল পুনরায় চালু করবে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি পর মঙ্গলবার (২৫ মে) তেল আবিব সফরে গিয়ে এমন ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও কবে কনস্যুলেটটি পুনরায় চালু হচ্ছে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখের কথা বলেননি তিনি।
এর আগে স্বায়ত্তশাসিত ওই কনস্যুলেট দীর্ঘদিন ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছিল।কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই কনস্যুলেটের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার পর তিনি এর কার্যক্রম মার্কিন দূতের অধীনস্থ করে দেন।
Advertisement
একই সঙ্গে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত গাজা পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মধ্যপ্রাচে পৌছানোর পরই প্রথমে তিনি সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো বন্ধুরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে। জেরুজালেমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এসময় আন্টনি ব্লিংকেন বলেন ইসরায়েলের নিরাপত্তায় বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠক শেষে নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, হামাস আবার সীমান্তের এপারে রকেট ছুড়লে খুবই শক্তিশালী পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।
এই সফর শেষে অ্যান্টনি ব্লিনকেন যাবেন পার্শবর্তী দেশ মিসর ও জর্ডানে। সেখানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘাত নিরসনসহ মধ্যপ্রাচ্যের নানা সমস্যা সমাধানে দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার শেষ হবে তার চারদিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর।
Advertisement
টানা ১১ দিন ধরে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল ও হামাস। এই সংঘাতে প্রায় ২৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬ জনই শিশু। অপরদিকে দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলে রকেট হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে। তবে হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক।
সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি
এএমকে/টিটিএন/জেআইএম