দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ইউনিক আইডি ও প্রোফাইল তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে কিছু তথ্য চেয়েছে সরকার। যার মধ্যে শিক্ষার্থী ও তার পিতা-মাতার জন্মনিবন্ধন সনদও চাওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের জন্মনিবন্ধন সনদ সহজে পেলেও বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
Advertisement
কারণ বেশিরভাগ অভিভাবকের জন্মনিবন্ধন সনদ নেই। হাতেগোনা কয়েকজনের সনদ থাকলেও তাতে নামের বানান ভুল। আবার শিক্ষার্থীদের অনেকের সনদের জন্মতারিখ ও শিক্ষাগত সনদে দেয়া তারিখের মিল নেই।
শিক্ষার্থীরা এখন এসব ত্রুটির সমাধান, দ্রুত জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধন ও নতুন জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করতে ছুটছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরতরাও। সেখানে চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।
মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুর ১২টায় বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও এমন চিত্র দেখা যায়। ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। যাদের অধিকাংশই এসেছেন জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত কাজ করাতে।
Advertisement
সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। তাদের একজন শিক্ষার্থী আল-আমিন। এসেছিলেন জন্ম নিবন্ধনের দু’টি নাম সংশোধন করতে।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ জুনের মধ্যে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নিজের জন্মসনদসহ, পিতা-মাতার জন্মসনদ চাওয়া হয়েছে। সেকারণেই এসেছি আমি।’
ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সওকত আলী জানান, গত কয়েকদিন থেকেই একই অবস্থা। প্রতিদিনই সবাই এসে জন্মসনদ সংশোধন, তৈরির জন্য তাড়াহুড়ো করছেন।
ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু একটি জরুরি সভায় জন্মসনদ সংশোধনের এই চাপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
Advertisement
চেয়ারম্যান বলেন, অনেকের ১০ বছর আগে জন্মনিবন্ধন করা হয়েছে। অনেকের সনদ খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়ায় জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা মনে করেননি। এখন নতুন করে জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন হওয়ায় চাপ বেড়েছে অফিসে। এটি দু-একদিনের কাজ নয়। তবুও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।
সালমান শাকিল/এএএইচ/এমএস