দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন থাকবেই। বিশেষ করে সব দম্পতিদের মধ্যেই একটু-আধটু কলহ, মান-অভিমান থাকেই। তবে হিংসা, সন্দেহ এবং ক্ষোভের কারণে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি নেমে আসে।
Advertisement
তারপরও দুই পরিবার ও সমাজের মানুষের কথা ভেবে দু’জন মানুষ শত অশান্তি স্বত্ত্বেও মিলেমিশে সব ভুলে আবারও সংসার করে। অনেকেই দাম্পত্য কলহ এড়াতে নিজের মনেই সব অভিমান ও অভিযোগ পুষে রাখেন।
একদিকে সঙ্গী সম্পর্কে খারাপ মন্তব্যও করতে পারেন না আবার তার মুখোমুখিও হতে পারেন না। সাংসারিক জীবনের মাঝামাঝিতে এসে তাই তো অনেকেই বলেন, আমি বোধ হয় সুখী নয়! আপনি দাম্পত্য জীবনে সুখী কি-না তা বুঝে নিতে কয়েকটি বিষয় মিলিয়ে নিন-
>> আপনার সঙ্গী কি সবসময় আপনাকে অন্য মানুষের সঙ্গে তুলনা করেন? কিংবা আপনি কি তার সঙ্গে কারও তুলনা করেন? কারো সঙ্গে তুলনা করার মানসিকতা খুবই খারাপ। প্রত্যেক মানুষই তার নিজের মতো করে ভিন্ন। সবারই ভিন্ন ব্যক্তিসত্ত্বা আছে।
Advertisement
>> সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে যদি আপনার অস্বস্তি হয়; তাহলে বুঝবেন আপনাদের মধ্যে ভালোবাসা কমতে শুরু করেছে। একজন সময় কাটাতে চাইছেন কিন্তু অন্যজন সেই সময়টা দিতে চাইছেন না এমনটি হলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না।
>> ভালোমন্দ সবকিছুই প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে হয়। তবে সঙ্গী যদি আপনার ভালো খবরে খুশি না হন কিংবা বাস্তবতা বুঝতে না চান; তাহলে বুঝবেন কোথাও একটা সমস্যা আছে।
>> যৌনতা ছাড়া কোনো সম্পর্কই সম্পূর্ণ হয় না। যদি দেখেন প্রথম থেকেই দাম্পত্য জীবনে যৌনতায় ঘাটতি আছে; তাহলে বুঝবেন সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেনে নেওয়া যাবে না।
>> আপনারা কি সবসময় ঝগড়া করেন? দু’জনের মধ্যকার বোঝাপোড়া ও মতের অমিল হলে ঝগড়া-বিবাদ চলতেই থাকবে। তাই একজন আরেকজনকে বুঝুন এবং সমস্যার সমাধান করুন। যদি তাতেও কাজ না হয় তাহলে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন।
Advertisement
>> একই ছাদের তলায় থেকেও কেউ কারও সঙ্গে কথা বলছেন না কিংবা এড়িয়ে চলছেন- এমনটি হলে সেই সম্পর্ক টেনে নেওয়া কঠিন। এতে দূরত্ব বেড়ে যায়। এর চেয়ে নিজেদের মানসিক শান্তি কীভাবে বজায় রাখবেন; সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন।
জেএমএস/এমএস