কিশোরগঞ্জের যশোদল বীর দামপাড়া গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের একমাত্র ছোট ভাই ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চাচা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম। বুধবার আসরের নামাজের পর গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় নাজাজে শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।এর আগে, দুপুর পৌনে ১টায় তার মরদেহ নেয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে। সেখানে জাতীয় পতাকা দিয়ে এ বীর মুক্তিযোদ্ধার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তার কফিনে ফুল দেন। সেখান থেকে তার মরদেহ নেয়া হয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে।পরে শহরের ইসলামিয়া মার্কেটের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। বাদ জোহর শহীদী মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেন।উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪। মঙ্গলবার রাতের বেলা হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম ১৯৯৬ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি থাকার সময় সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তার জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এ দিকে প্রিয় একমাত্র চাচার মৃত্যুর খবরে কিশোরগঞ্জে ছুটে আসেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি কিশোরগঞ্জ আসেন। সোজা চলে যান শহরের খড়মপট্টি এলাকায় পূর্ণিমা ভিলায়। সেখানে চাচার মরদেহের পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।এ সময় তার চোখে ছিল শোকের অশ্রু। কিশোরগঞ্জে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নিজের বাড়ি নেই। কিশোরগঞ্জ এলে তিনি চাচার বাসায় উঠতেন। বাবার মতোই শ্রদ্ধা করতেন একমাত্র চাচাকে। তাইতো চাচার মৃত্যুতে তিনি কাতর হয়ে পড়েন।নূর মোহাম্মদ/বিএ
Advertisement