খেলাধুলা

বিপিএলে উড়ছে ‘রনি পতাকা’

এবারের বিপিএলে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে যা একটু আলোচনায় ছিলেন। এছাড়া বিপিএল শুরুর আগে তাকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে খুব কমই। কিন্তু বিপিএলের মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নামই এখন আবু হায়দার রনি। অনেকেই তার মাঝে আগামী দিনের মুস্তাফিজকে দেখতে পাচ্ছেন।বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে সাকিবের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বাধিক ১২ উইকেট নিয়ে বোলারদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন রনি। তবে শুধু উইকেট সংগ্রহই নয়। তার মাঝে রয়েছে আগ্রাসী মনোভাব, যা একজন পেস বোলারদের জন্য খুবই জরুরি। এছাড়া এই বয়সেই টেম্পারামেন্টে দারুণ এগিয়ে এই প্রতিভাবান বাঁ-হাতি পেসার। যার প্রতিফলন হচ্ছে তার পারফরমেন্সে।বলে দানবীয় গতি না থাকলেও দারুণ লাইন-লেন্থ বজায় রেখে বল করে যেতে পারেন এই পেসার। আউটসুইংয়ে দারুণ ওস্তাদ। অফ কাটারটাও বেশ দিতে পারেন। কেউ কেউ মুস্তাফিজের কার্বন ভেবেও ভুল করে বসতে পারেন। এছাড়া দারুণ স্লোয়ার দেয়ার পাশাপাশি শুরু থেকেই করতে পারেন করতে পারেন বিধ্বংসী ইয়র্কার। বোলিং নিয়ে কাজ চালিয়ে গেলে আগামীতে নতুন আরও এক মুস্তাফিজকে পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।আজই যেমন ঢাকা ডাইনামাইটসের বিপক্ষে যখন হারতে বসেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, তখন বল হাতে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন রনি। নাসির এবং ওয়ালারকে আউট করে কুমিল্লাকে ফিরিয়ে আনেন ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত কুমিল্লার জয় ১০ রানের ব্যবধানে।বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ইতোমধ্যেই হয়ে উঠেছেন দলের তুরুপের তাস। মাশরাফিও দারুণ মুগ্ধ এই বোলারকে দেখে। রনি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘রনি খুবই ইমপ্রেসিভ। অনেক ভালো কিছু রয়েছে ওর মাঝে। প্রথম থেকেই ইয়র্কার মারতে চায়। মানে সেই আত্মবিশ্বাস ওর আছে। স্লোয়ারটাও খারাপ না। জায়গায় বল করতে পারে, পেসও চমৎকার। এই বয়সে এতোগুলো দক্ষতা থাকা মানে কাজ করলে ২-১ বছর পরে আরও খুব ভালো বোলিং করবে। এভাবে খেললে এখনই হয়তো জাতীয় দলে আসতে পারবে না তবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রেখে ঠিকভাবে কাজ করতে পারলে চলে আসবে।’বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই উঠে এসেছেন এই তারকা। ঘরোয়া লিগেও সফল এই নবীন তারকা। ৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। এছাড়া ১১টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলে ১৭টি নিয়েছেন।আরটি/আইএইচএস/বিএ

Advertisement