পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ইয়াস কার্যত একই এলাকায় স্থির রয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ২৬ মে ভোর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূলের নিকট দিয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় পৌঁছতে পারে।
Advertisement
সোমবার (২৪ মে) দুপুরে ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা যদি না থাকতো, তাহলে যে বিজ্ঞপ্তিগুলো দিচ্ছি তা বন্ধ করে দিতাম। যেহেতু বিশেষ বুলেটিনগুলো দেয়া হচ্ছে, তার মানে সম্ভাবনা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়া আছে। এরপর হতে পারে ৪ নম্বর সংকেত হবে। এর অর্থ হবে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আসার সম্ভাবনা আছে। গতিপথ কোন দিকে, সেটা পরে। গতিপথ যে দিকেই থাক না কেন, এর প্রভাব বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা আছে। এরপর যখন ৫, ৬, ৭ নম্বর সংকেত দেয়া হবে, তখন বলা হবে ঘূর্ণিঝড়টা বাংলাদেশের কোন উপকূল থেকে কাছে বা দূরে। আমাদের ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
Advertisement
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এটি সোমবার (২৪ মে) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল বলেও বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
Advertisement
পিডি/জেডএইচ/এমকেএইচ