‘অনেক বয়স হয়েছে, সাবধান হয়ে যান’ বলে লকডাউন নিয়ে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দকে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার ‘জরিমানা মওকুফের’ আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।
Advertisement
সরকার ঘোষিত লকডাউন নিয়ে রিট করে শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় ইউনুছ আলী আকন্দকে ৫ মে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন হাইকোর্ট। পরে সেই জরিমানা থেকে রেহাই পেতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে আজ শুনানি শেষে তাকে সাবধান হতে বলেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৪মে) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ আইনজীবীকে সতর্ক করে এই আদেশ দেন।
লকডাউন ষোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। জরিমানা থেকে বাঁচতে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
Advertisement
গত ১৯ মে শুনানিতে ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, ‘মাই লর্ড, আপনার কোর্টের জুম আইডি পরিবর্তন হওয়ায় আমি ওইদিন শুনানিতে অংশ নিতে পারিনি। এজন্য ক্ষমা চাইছি। আমাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা মাফ করে দেন। আমি ক্ষমা চাই।’
তখন আদালত বলেন, ‘মিস্টার আকন্দ, আপনি দেশের একজন জনপ্রিয় মানুষ। জরিমানার ঘটনা মিডিয়ায় এসেছে। তাই আপনি লিখিতভাবে আপনার কথাগুলো আদালতকে জানান। আমরা বিষয়টি দেখব। পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্যে দিন ধার্য করেন।’
করোনার সংক্রমণ রোধে জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া সরকার ঘোষিত লকডাউন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে গত ২৫ এপ্রিল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিকে বিবাদী করা হয়।
তবে নির্ধারিত শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় সেই রিট সরাসরি খারিজ করে দেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
আদালত সে সময় মন্তব্য করেন, রিট করে তিনি পত্র-পত্রিকায় নিউজ দেন। কিন্তু রিট তালিকায় উঠলে শুনানিতে উপস্থিত থাকেন না। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সংলাপে বসানোর দাবিতে একটি রিট করেছিলেন। সেবারও শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় আদালত তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন।
এছাড়া দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করে ১২ অক্টোবর ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেন। এ পোস্ট দেয়ায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর ইউনুছ আলীকে আইন পেশা থেকে সাময়িক বিরত (সাসপেন্ড) থাকার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এফএইচ/এমএইচআর/এএসএম